কোরবানির পশুর চামড়া নিজে ব্যবহার করা যাবে?

কোরবানির পশুর চামড়া নিজে ব্যবহার করা যাবে?

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : কোরবানি আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয় আমল। রাসুল (সা.) মদিনার জীবনে প্রতিবছর কোরবানি করতেন। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) মদিনায় ১০ বছর অবস্থান করছিলেন, প্রতিবছর তিনি কোরবানি করেছেন।

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, কোরবানির ঈদের দিন মানুষের সব নেক আমলের মধ্যে সর্বাধিক প্রিয় আমল হলো কোরবানি করা। কিয়ামতের ময়দানে জবেহকৃত জন্তু তার শিং, লোম, খুরসহ এসে হাজির হবে। নিশ্চয়ই কোরবানির রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহর কাছে তা কবুল হয়ে যায়। অতএব, তোমরা খুশি মনে আনন্দচিত্তে কোরবানি করো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২৬)

কোরবানির পশু জবাইয়ের পর এর চামড়া বিনিময় বা বিক্রি করা শুদ্ধ নয়। হজরত আলী (রা.) থেকে হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে, হজরত মুহাম্মদ (সা.) আমাকে কোরবানির পশু জবাই করার জন্য, পশুর গোশত, চামড়া ও নাড়িভুঁড়ি সদকা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এসবের কোনো কিছু কসাইকে দিতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ১৭১৭; মুসলিম, হাদিস : ১৩১৭)

হাদিসের আলোকে আলেমরা বলেন, চামড়ার মূল্য বা বিনিময়ের মাধ্যমে কোনোভাবে উপকৃত হওয়া যাবে না। শরিয়তের নিয়ম অনুযায়ী, কোরবানি দেয়া পশুর চামড়া দান করা হচ্ছে উত্তম।

তবে কোনো কোরবানিদাতা চামড়া ব্যবহার করতে চাইলে তা পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো নিষেধ নেই। তবে যদি কোরবানির পশুর চামড়া দান বা বিক্রি করে তাহলে গরিব, এতিম ও অসহায়দের দিতে হবে। কোরবানি দাতা নিজে চামড়া বিক্রি করার অর্থ খরচ করতে পারবেন না। (ফাতাওয়া কাজিখান : ৩/৩৫৪)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *