পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। হাটগুলোতে আমদানি হচ্ছে প্রচুর পশু। বাড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়। তবে এখনো বিক্রি সেভাবে শুরু হয়নি। ক্রেতারা বলছেন, এবার দাম বেশি। আবার খামারিরা বলছেন, দাম কম। আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর :
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহে বড় সাইজের গরুর ক্রেতা মিলছে না। এসব গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারি ও গৃহস্থরা। এদিকে জেলার কোরবানির পশু হাটগুলোতে প্রচুর গরু উঠছে। কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা কম। গরু বিক্রি না হওয়ায় হাটগুলো থেকে গরু ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন গৃহস্থ ও খামারিরা।
শৈলকুপা উপজেলার হরড়া গ্রামের মর্জিনা বেগম জানান, তিন বছর ধরে একটি ষাঁড় গরু পালন করে আসছেন। আদর করে নাম রেখেছেন বুড়ো। তার আশা ৩৫ মণ ওজনের বুড়োকে কোরবানির আগে বিক্রি করবেন। কিন্ত বুড়োর ক্রেতা মিলছে না। ৩০ মণ ওজনের কালাপাহাড়কে নিয়ে একই অবস্থায় পড়েছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাজধরপুর গ্রামের খামারি শামসুন্নাহার স্বপ্না।
ঝিনাইদহ জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার জেলার ২২টি হাটে কোরবানির পশু তোলা হচ্ছে। বরিশাল থেকে আসা ব্যাপারি করিম মিয়া বলেন, হাবিবপুর হাট থেকে বেশি দামে গরু কিনে বরিশাল হাটে তুলছেন। কিন্তু দাম কম থাকায় পোষাচ্ছে না। তিনি বলেন, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা দামের গরুর চাহিদা বেশি। বড় সাইজের গরুর চাহিদা নেই। শৈলকুপা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মো. এনামুল হক বলেন, সাড়ে পাঁচ মণ থেকে ছয় মণ মাংস হবে এমন একটি গরু ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন। এবার গরুর দাম বেশি নয় বলে জানান। জেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট হাবিবপুর পশু হাট। মঙ্গলবার হাটে প্রায় ১০ হাজার গরু ওঠে। ৭০০ গরু কেনাবেচা হয়। বাকি গরু খামারি ও ব্যাপারীরা ফেরত নিয়ে যান। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মনোজিত কুমার সরকার জানান, এবার জেলায় ১ লাখ গরু ও ১ লাখ ৪ হাজার ছাগল মোটা তাজা করা হয়েছে।
নরসিংদী : আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নরসিংদীর বিভিন্ন উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদ যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে বেচাকেনা। হাটে গরু কিনতে আসা জহিরুল বলেন, হাটে পছন্দসই গরুর অভাব নেই। তবে বিক্রেতারা দামটা একটু বেশি চাইছেন। আমির হোসেন নামে এক ব্যাপারি জানান, তিনি নরসিংদীর বিভিন্ন হাট থেকে ছোট ও মাঝারি আকারের গরু, মহিষ কিনে ঢাকা এবং গাজীপুরে নিয়ে বিক্রি করছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নারগিস খানম বলেন, জেলায় ৭৫ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে প্রায় ৮৮ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে।
আগৈলঝাড়া (বরিশাল) : প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য মতে, উপজেলায় ১৪ হাজার ৯৫৩টি পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। এ বছর উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী ভিত্তিতে পাঁচটি পশুর হাট স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত ভেটেনারি সার্জন ডা. সূরভী আক্তার তানাজ বলেন, উপজেলার চাহিদা অনুযায়ী পশু প্রস্তুত রয়েছে।
সূত্র : ইত্তেফাক