পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রাজতন্ত্র-বিরোধী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের ওয়াশিংটনের হাত আছে বলে দাবী করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা বেন রড্স বলেছেন, খাশোগির হত্যাকাণ্ডের জন্য সৌদি ক্ষমতাধররা দায়ী, এবং হোয়াইট হাউজের পূর্ব সম্মতি ছাড়া এত বড় অপরাধ সংঘটিত হয়নি।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা বেন রড্স সুইজারল্যান্ডের দৈনিক ট্যাগস অ্যানজেইগারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন বলে জানা যায়।
বেন রড্স বলেন, বিন সালমান মনে করেন আমেরিকার সবুজ সংকেত নিয়ে তিনি যা খুশি তাই করতে পারেন। সৌদি যুবরাজকে যেকোনো অপরাধ করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য রড্জ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিন্দা জানান। আর আমেরিকার সবুজ সংকেত নিয়ে বিন সালমান ইয়েমেনে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছেন, কাতারকে অবরুদ্ধে করে রেখেছেন এবং লেবাননের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন বলে মন্তব্য করেন বেন রড্স।
খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের হাত থাকার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে রড্জ বলেন, নিজের জীবনে বিন সালমান শুধু একটি আইন অনুসরণ করেন। আর তা হলো- ক্ষমতা গ্রহণ করো এবং তা ধরে রাখো।
এদিকে সৌদি আরবে আটক ১৮ জনের মধ্যেই সাংবাদিক জামাল খাসোগির খুনি রয়েছে দাবী করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান বলেছেন, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে খুন হওয়া সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন ১৮ জনের মধ্যেই খাসোগির খুনি রয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে চাইলে আটক ব্যক্তিদের তুরস্কের কাছে হস্তান্তর করা উচিত।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন ১৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তুরস্ক। এজন্য সন্দেহভাজনদের তুরস্কের কাছে হস্তান্তর করতে রিয়াদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আঙ্কারা।
সৌদি আরবের ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি গত ২ অক্টাবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করে নিখোঁজ হন। দীর্ঘ ১৭ দিন খাশোগি সম্পর্কে মিথ্যাচার শেষে ১৯ অক্টোবর সৌদি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে, ওই কনস্যুলেটের ভেতর খাশোগি নিহত হয়েছেন।
সৌদি যুবরাজের সমালোচনা করার দায়ে সৌদি আরবে খাশোগির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। তিনি যুবরাজের রোষাণল থেকে বাঁচতে দেশটি ত্যাগ করে আমেরিকায় চলে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হয়নি তার। ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে যুবরাজের পাঠানো ঘাতক দলের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছে খাশোগিকে।