গাজায় ‘এখনই যুদ্ধবিরতি’ চায় আরব দেশগুলো

গাজায় ‘এখনই যুদ্ধবিরতি’ চায় আরব দেশগুলো

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হত্যাকাণ্ড বন্ধে এখনই যুদ্ধবিরতি চায় আরব দেশগুলো। আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) জর্ডানের রাজধানী আম্মানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে সঙ্গে নিয়ে আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যুদ্ধবিরতির এ আহ্বান জানানো হয়। খবর বিবিসির।

গাজা ইস্যুতে আম্মানের সেন্ট রেজিস হোটেলে শনিবার বৈঠকে মিলিত হন আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এক মাসের মধ্যে তৃতীয় দফায় ইসরায়েল সফর শেষে ওই বৈঠকে যোগ দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন।

বৈঠকের শুরুতেই জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইমান সাফাদি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ও আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে কথা হতে হবে স্বচ্ছ, সরাসরি ও গঠনমূলক। কেননা, গাজায় একটি বিপর্যয় চলছে, যা একটি প্রজন্ম ধরে এই অঞ্চলকে তাড়িত করে বেড়াবে এবং সেটি বন্ধ করতে আমরা সবাই আগ্রহী।

সাফাদি বলেন, এমন হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করা যায় না। ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে বাস্তুচ্যুত করাকে প্রত্যাখ্যান করছে আরববিশ্ব। সমস্ত আরব দেশ কোনো শর্ত ছাড়াই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানায়, যাতে এই যুদ্ধের অবসান ঘটে।

জর্ডান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা, তাদের হাসপাতাল, মসজিদ ধ্বংস করা ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না এবং এসব ‍নৃশংসতা ইসরায়েলের নিরাপত্তা বা এই অঞ্চলে শান্তি বয়ে আনবে না।

বৈঠকে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামিহ শুকরি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে গাজা ইস্যুতে ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ ভূমিকা না নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেন।

শুকরি বলেন, একদিকে বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু করা এবং অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের নিন্দা করা উচিত হবে না। ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে সেটি করা হচ্ছে। যেন আরবের রক্ত অন্যান্য মানুষের রক্তের চেয়ে কম দামী।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেন, কোনো দেশই বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা মেনে নেবে না।

একজন সাংবাদিক ব্লিঙ্কেনকে জিজ্ঞাসা করেন, ইসরায়েল গাজায় অভিযানে ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করা ছাড়া আর কী অর্জন করেছে?

জবাবে ব্লিঙ্কেন বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আমরা বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছি।

প্রসঙ্গত, ব্লিঙ্কেনের মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান কানে তোলেননি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। যুক্তরাষ্ট্র একদিকে যুদ্ধবিরতির কথা বলছে, অন্যদিকে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর সহায়তা হিসেবে ইসরায়েলকে ১৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। এছাড়া ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলকে অস্ত্র সহায়তাও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *