পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে করে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে। একই সঙ্গে অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজার শিশুদের মধ্যে তীব্র অপুষ্টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। ইসরায়েল যখন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য কাতারে প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখনই গাজায় জাতিসংঘের সহায়তা সংস্থার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।খবর আল জাজিরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউএনডব্লিউএআর জানায়, শিশুদের অপুষ্টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং গাজায় এটি নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি তিনজনের একজন শিশু এখন তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গাজায় সাহায্য বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন সাইপ্রাস হয়ে গাজায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সাইপ্রিয়টের প্রেসিডেন্ট নিকোস ক্রিস্টোডৌলিডস বলেছেন, খাদ্য সহায়তার দ্বিতীয় কার্গোটি শনিবার (১৬ মার্চ) সাইপ্রাস থেকে সমুদ্রপথে যাওয়ার করার জন্য প্রস্তুত ছিল। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জর্ডান বলেছে যে তারা মানবিক সাহায্যের জন্য গাজায় একটি বিমান ড্রপ করেছে।
এদিকে শুক্রবার (১৫ মার্চ) ইসরায়েল জানায়, হামাস জিম্মি এবং বন্দীদের বিনিময়ের প্রেক্ষিতে যুদ্ধবিরতির জন্য একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করার পরে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আরো আলোচনার জন্য কাতারে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে তারা। একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন ইসরায়েলের মোসাদ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ডেভিড বার্নিয়া।
পবিত্র রমজানের আগে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে এক সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া প্রচেষ্টা সফলতার মুখ দেখেনি এখনো। এরই মধ্যে ইসরায়েল বলছে, তারা দক্ষিণ গাজার রাফাহতে একটি নতুন আক্রমণ শুরু করার পরিকল্পনা করছে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ গাজার ১৩ লাখের বেশি মানুষের আশ্রয় নেয়া রাফাহ অঞ্চলে দুই দিনের সফর সম্পন্ন করে রাফাহ আক্রমণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, হামাসকে প্রতিহত করতে ইসরায়েল রাফাহ অঞ্চলে যে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে তা সফল হলে একটি ভয়ঙ্কর বেসমারিক হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে।