পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে ফিলিস্তিনের সমর্থনে মিছিল করেছেন কয়েক হাজার মার্কিন মুসলিম। গতকাল শনিবার গাজায় ইসরায়েলি আক্রমণের বিরতি দাবি করে বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় তারা হুমকি দেন, বাইডেন প্রশাসন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে না পারলে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো ভোট পাবেন না জো বাইডেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাজার হাজার মার্কিন মুসলিম বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, পোস্টার ও ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকা হাতে মিছিল করেন। এ সময় তারা ওয়াশিংটনের ফ্রিডম প্লাজা হয়ে হোয়াইট হাউসের সামনে পৌঁছান এবং সেখানে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চাই স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে অ্যাক্ট নাউ টু স্টপ ওয়ার অ্যান্ড রেসিজম (আনসার)। সংগঠনটি তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, ‘এখন সময় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর! ঘণ্টার পর ঘণ্টা ইসরায়েল বোমা হামলা চালাচ্ছে গাজায়। লোকেরা খাদ্য, জল এবং বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত। আরও কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের অবশ্যই এখনই সক্রিয় হতে হবে!’
বিক্ষোভ মিছিলের সংগঠক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হলো কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নিহাদ আওয়াদ। তিনি বলেন, ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের ফলে ইসরায়েলপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থক এবং আরব আমেরিকানসহ তরুণ ভোটারদের মধ্যে বিভক্তির লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
নিহাদ আওয়াদ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তাঁর দল যে ভাষা বোঝে তা হলো আগামী নির্বাচনে ভোটের ভাষা। আমাদের বার্তা হলো—যুদ্ধবিরতি না হলে কোনো ভোট নয়’ তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত না হলে মিশিগানে কোনো ভোট পাবেন না, অ্যারিজোনায় কোনো ভোট পাবেন না, জর্জিয়াতে কোনো ভোট পাবেন না, নেভাদায় কোনো ভোট পাবেন না, উইসকনসিনে কোনো ভোট পাবেন না, পেনসিলভানিয়ায়ও কোনো ভোট পাবেন।’
ওয়াশিংটন ছাড়া নিউইয়র্ক, সিয়াটল এবং অন্যান্য মার্কিন শহরেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এসব মিছিলে ইসরায়েল-গাজা সংঘর্ষে যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলকে মার্কিন ও পশ্চিমা সামরিক সহায়তা বন্ধ করার দাবিও তোলা হয়। এর বাইরেও ইসরায়েল ও এর পশ্চিমা সমর্থক দেশগুলোর জন্য একই বার্তা দিয়ে লন্ডন, বার্লিন, প্যারিস, আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।