গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কী বলছে হামাস, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কী বলছে হামাস, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ছয় সপ্তাহের একটি প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করছে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সর্বশেষ উদ্যোগ হিসেবে হামাসকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র কী বলছে তা তুলে ধরেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

এই সপ্তাহে কাতারে রয়েছেন ইসরায়েলি ও হামাসের প্রতিনিধিরা। গাজায় সম্ভাব্য ছয় সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির চুক্তির চেষ্টা করছেন তারা।

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাজ প্রায় শেষের দিকে। এই সপ্তাহের শুরুতে নিউ ইয়র্কে এ কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশা নিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, আগামী সোমবার (৪ মার্চ) থেকে যুদ্ধবিরতি হতে পারে।

বাইডেনের কথার পরিপ্রেক্ষিতে হামাসের রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রধান বাসেম নাইম আল জাজিরাকে বলেছেন, বাইডেনের আশাবাদ বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সমঝোতায় এখনও অনেক ফারাক রয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস ‘অন্য গ্রহে’ রয়েছে। তারা যদি যৌক্তিক পরিস্থিতি মেনে নেয়, তবে আমরা হ্যাঁ বলবো এবং ফিলিস্তিনি বন্দিমুক্তি চুক্তি করা হবে।

নেতানিয়াহুর এমন মন্তব্যে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনায় নমনীয়তা দেখাচ্ছে হামাস। তবে প্রয়োজনে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত তারা।

হামাস ও ইসরায়েলের মতবিরোধের ওপর ভিত্তি করে মঙ্গলবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছিলেন, গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনও কোনও অগ্রগতি হয়নি, তবে আলোচনা চলছে।

মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের প্রস্তাব বিবেচনা করছে হামাস। এই প্রস্তাবে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এই বিরতিতে গাজায় ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি প্রায় ৪০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দেবে ইসরায়েল। বিনিময়ে প্রায় ৪০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *