পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি শিশুদের মূল্যহীন ভাবছে। রাজধানী দোহায় কাতারের আমির তাঁর ভাষণে এমনটাই বলেছেন। তিনি এই মুহূর্তে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আমি উভয় পক্ষের নিরীহ বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা করছি।
গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে কাতার। তাদের মধ্যস্থতায় হামাস অন্তত চারজন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে কাতার। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দোষারোপ করে বলেন, ‘তারা ভাবছে ফিলিস্তিনি শিশুরা অকেজো।
তারা নামহীন।’ তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের ক্রমবর্ধমান সহিংসতা উদ্বেগজনক। এটি সব আন্তর্জাতিক আইন এবং ধর্মীয় ও সামাজিক নৈতিকতার পরিপন্থী।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি আরো বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করা, তাদের ভূমি উপনিবেশ করার মতো অবৈধ নৃশংসতা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলিদের সবুজসংকেত দেওয়া যাবে না।
ইসরায়েলকে অস্ত্র হিসেবে পানি, ওষুধ ও খাবার বন্ধ করার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।’ তিনি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তাঁর মতে, এই যুদ্ধ প্রতিটি সীমা অতিক্রম করেছে এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
এদিকে অনবরত ইসরায়েলি বিমান হামলা থেকে গাজাবাসী সামান্য বিরতিও পাচ্ছে না। রাতভর চলছে ইসরায়েলি বিমান হামলা।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২০০ জন নিহত হয়েছে। গত রাতেই রাফাহ ও খান ইউনিসে ৫৫ জন নিহত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ শুরু করার পর থেকে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। হাসপাতালগুলো এই সংখ্যক মানুষের ভার আর নিতে পারছে না। হাসপাতালগুলো এর আগে এত আহত মানুষ দেখেনি।
সূত্র : আলজাজিরা