গাজার দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র লড়াই

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে তীব্র লড়াই

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: বুধবার গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি সৈন্য ও হামাস জঙ্গিদের মধ্যে যুদ্ধ তীব্র হয়েছে। ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের উপর ক্রমবর্ধমান চাপ সৃষ্টি করে চলেছে এই যুদ্ধ।

আশ্রয় এবং মানবিক সহায়তা পেতে ক্রমবর্ধমান অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে তারা।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বুধবার জানিয়েছে, তারা এর আগের দিন গাজা ভূখণ্ডের প্রায় ২৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে।

জাতিসংঘ সোমবার বিকেল থেকে গাজায় ইসরাইলি বোমাবর্ষণ ও স্থল হামলার উল্লেখযোগ্য তীব্রতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইসরাইলকে লক্ষ্য করে হামাসের রকেট হামলা বৃদ্ধির কথা জানায়।

ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের বাহিনী গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসকে ঘিরে রেখেছে।

গাজার উত্তরাঞ্চলে হামলার পর বেসামরিক নাগরিকদের দক্ষিণে সরে যেতে বলা হয়। এরপর দক্ষিণেও যুদ্ধের বিস্তার ঘটে।

কিন্তু গাজার পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর এবং দক্ষিণ ও পূর্বে মিশর ও ইসরাইলের সাথে সীমান্ত বন্ধ থাকায় মানুষের যাবার জায়গা ক্রমশই কমে আসছে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা বলছে, গাজায় আনুমানিক ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশ। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ দক্ষিণ গাজায় জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক বুধবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ফিলিস্তিনিরা গাজায় “চরম, গভীর আতঙ্কের মধ্যে বাস করছে”। বেসামরিক নাগরিকরা সেখানে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামাসের আক্রমণে প্রায় ১,২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৪০ জন জিম্মি হয়। এর জের ধরে, গাজায় হামাসের শাসনের অবসান ঘটাতে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইল।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

অপরদিকে, গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলের সামরিক অভিযানে গাজা ভূখণ্ডে কমপক্ষে ১৬ হাজার ২৪০ জন নিহত হয়েছে, যাদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *