পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ইতিহাসের ঘটনাবহুল ও আলোচিত দিন আজ ৭ নভেম্বর। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন পৃথক নামে দিনটি পালন করে। বিএনপি দিনটিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে। জাসদ পালন করে ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে। আর প্রগতিশীল অনেক দল ও সংগঠন ৭ নভেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে ক্ষমতার পটপরিবর্তন ঘটে। এরপর ওই বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। শুরু হয় সেনাবাহিনীতে পাল্টাপাল্টি অভ্যুত্থানের ঘটনা। এসব ঘটনার একপর্যায়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দী হন। ৭ নভেম্বর এক অভ্যুত্থানে তিনি মুক্ত হন। এর মাধ্যমে তাঁর ক্ষমতায় যাওয়ার পথ তৈরি হয়।
৭ নভেম্বর ঘিরে প্রতিবছর বিএনপির কর্মসূচি থাকলেও এবার কোনো কর্মসূচি পালন করবে না দলটি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ভার্চ্যুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ, নেতা-কর্মীদের অব্যাহতভাবে গ্রেপ্তারসহ উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এবার ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবসের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
৭ নভেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আওয়ামী লীগ। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটায় আলোচনা সভা ডাকা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
অন্যদিকে আজ বেলা তিনটায় ঢাকায় শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে ‘সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা ডেকেছে জাসদ।