ঘন কুয়াশায় উত্তরে বেড়েছে শীত

ঘন কুয়াশায় উত্তরে বেড়েছে শীত

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে উত্তরের হিমালয় ঘেঁষা লালমনিরহাটে। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াজান নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষের কষ্ট বেড়েছে নিদারুণ।

রোববার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। দিনে শীতে তীব্রতা কম থাকলেও রাতে বেড়ে যায় শীত।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

শীতে লালমনিরহাটে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নদ-নদী তীরবর্তী ৬৩টি চরের প্রায় লক্ষাধিক মানুষসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। শীতে খেটে খাওয়া মানুষ কাজকর্মে যেতে না পেরে কষ্টে দিন পার করছেন। গত পাঁচ দিন শীতের তীব্রতা না থাকলেও গতরাত থেকে শীতের তীব্রতা হু হু করে বাড়ছে।

শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়ষ্করা। হাঁপানি, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, হৃদরোগসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটে ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায়, নিউমোনিয়া ও শীতজনীত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন শিশুসহ ২০ জন।

তিস্তা পাড়ের লাভলু মিয়া জানান, গত পাঁচ দিন থেকে তিস্তার পাড়ে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি ঘনকুয়াসা ও কনকনে ঠান্ডায় এলাকার মানুষ কাবু হয়ে পড়েছে।

সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, ওই ইউনিয়নটি নদীবেষ্টিত হওয়ায় এখানে শীতের তীব্রতা বেশি। শীত আর ঠান্ডা বাতাসে অনেক অসহায় পরিবার কষ্টে দিন পার করছে।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় জানান, শীতজনীত রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *