নিজস্ব প্রতিবেদক : কর্ণফুলী নদী রক্ষায় হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়িত না হওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ আটজনের প্রতি আদালত অবমাননার রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদালত অবমাননার অভিযোগে করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার এ রুল দেন।
কর্ণফুলী নদী রক্ষায় উচ্চ আদালতের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় আটজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে গত সোমবার আবেদন করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন, আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালতের ওই নির্দেশনা প্রতিপালন না হওয়ায় কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কার্যক্রম শুরু করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনকারী আইনজীবী জানান, কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল নিয়ে জনস্বার্থে এইচআরপিবির পক্ষে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট ১১ দফা নির্দেশনাসহ রায় দেন। নির্দেশনায় ৯০ দিনের মধ্যে বিবাদীদের নদীর জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে, জলাধার সংরক্ষণ আইনের ৫, ৮, ৬ (ঙ) ও ১৫ ধারার বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। এই রায়ে নির্দেশনা অনুসারে এখনো নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ হয়নি। এ অবস্থায় আদালতের রায় অনুসারে কর্ণফুলী নদীর জায়গা দখল করে নির্মিত স্থাপনা সাত দিনের মধ্যে উচ্ছেদের অনুরোধ জানিয়ে ২৫ জুন আদালত অবমাননার আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। লিখিতভাবে উচ্ছেদ করার বিষয়ে না জানানোর প্রেক্ষাপটে আটজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদনটি করা হয়।