চমকপ্রদ কিছু নয়, কাঠামোগত পরিবর্তন করতে চাই : উপদেষ্টা নাহিদ

চমকপ্রদ কিছু নয়, কাঠামোগত পরিবর্তন করতে চাই : উপদেষ্টা নাহিদ

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, স্বল্প সময়ে চমকপ্রদ এক-দুইটি কাজ নয় বরং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কাঠামোগত পরিবর্তন করতে চাই।

রোববার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজের প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আগের বাংলাদেশ এবং পরের বাংলাদেশ ভিন্ন। সাধারণ মানুষের জায়গা থেকে এ পার্থক্য আমরা অনুভব করতে পারছি। আমরা আন্দোলনের সময় বলেছিলাম, মেধাভিত্তিক একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। আমরা মনে করেছিলাম, সরকারি চাকরিতে মেধা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া উচিত। কোটা থাকতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু রেখে বাকিটুকু সংস্কার করার দাবি ছিল। কারণ বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হলে মেধাবীদের প্রাধান্য দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি মেধাবীরা দেশ নিয়ে হতাশ। তারা ব্যাপক পরিমাণে বিদেশমুখী। কারণ তাদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭১ সাল যেমন বড় ঘটনা, তেমনি ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানও আরেকটি বড় ঘটনা হিসেবে ইতিহাসে লেখা থাকবে। কিন্তু পরবর্তী সময়টুকু কাজে লাগাতে না পারলে এই ইতিহাসের যথাযথ মূল্যায়ন আমরা করতে পারব না।

আমরা দেখতে পাচ্ছি মেধাবীরা দেশ নিয়ে হতাশ। তারা ব্যাপক পরিমাণে বিদেশমুখী। কারণ তাদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না।

সরকারের এই উপদেষ্টা আরও বলেন, আগের বাংলাদেশ চাই না। সর্বস্তরেই অনেক সমস্যা। রাষ্ট্রীয় কাঠামোর আমূল পরিবর্তন ছাড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া যাবে না। আমরা শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন চাই না বরং কাঠামোগত পরিবর্তন করতে চাই।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন যেহেতু দেশ গড়ার একটি সুযোগ এসেছে, তা সবাইকে কাজে লাগানো উচিত। ছাত্র এবং সাধারণ মানুষরা তাদের ভূমিকা পালন করেছে। এখন বাকি কাজটুকু আপনাদের করতে হবে। আমরা জানি না বাংলাদেশের এই স্থিতাবস্থা কতদিন থাকবে। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। কারণ এখন বাংলাদেশে অন্তত দলীয়করণ করার সুযোগ নয়। আমরা একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এসেছি। তাই এখন সত্যিকার অর্থেই দেশ-জাতির জন্য কাজ করার সুযোগ এসেছে।

তিনি আরও বলেন, আমি এখানে এসেছি জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষা ও দাবি উত্থাপন করার জন্য। আপনাদের কাজ হচ্ছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা। বাংলাদেশের তরুণরা যেভাবে জেগে উঠেছে, বিষয়টি নিয়ে পুরো পৃথিবীতে এখন আলোচনা হচ্ছে। সেজন্য তরুণদের সাথে অভিজ্ঞদের জেনারেশন গ্যাপ কমাতে হবে। তরুণরা যেন সরকারের কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারে, সে চেষ্টা করতে হবে।

এর আগে, সকালে সরকারের এই উপদেষ্টা সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলেও জানান তিনি।

Related Articles