জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পুনরায় স্যালাইন উৎপাদন শুরু

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পুনরায় স্যালাইন উৎপাদন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মহাখালীর সরকারি জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আইভি ফ্লুইড ইউনিটে খুব শিগগিরই পুনরায় স্যালাইন উৎপাদন শুরু হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ  বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত স্টাপারটিটিসহ স্যালাইন উৎপাদনের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ইনস্টিটিউটে এসে পৌঁছেছে। স্যালাইন উৎপাদন পুনরায় শুরুর জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই পুনরায় স্যালাইন উৎপাদন শুরু করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ইনস্টিটিউটের নবনিযুক্ত পরিচালকের দাবি, বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছয় মাস যাবৎ স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ রয়েছে মর্মে প্রকাশিত প্রতিবেদন তথ্য নির্ভর নয়। বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা করার সুযোগ দিতে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে এ তথ্যও ভুল। তিনি জানান, এক বছর নয়, গত ৫ জুন থেকে কয়েকদিন উৎপাদন বন্ধ ছিল।

কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছরের ৩০ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল পর্য়ন্ত সময়ে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পাঁচজন পরিচালক বদলি ও দায়িত্বগ্রহণ জনিত জটিলতার কারণে সময়মতো কাঁচামাল কেনায় বিলম্বিত হয়। বিশেষ করে স্যালাইন উৎপাদনের জন্য বিদেশ থেকে যে স্টপারটিটি আমদানি করতে হয় তা কিনতে বিলম্বিত হওয়ায় এক মাসেরও কম সময উৎপাদন বন্ধ থাকে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদও একই দাবি করে বলেছিলেন, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে এক বছর স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ রয়েছে এমন তথ্য মোটেই সঠিক নয়।

উল্লেখ্য, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের আইভি ফ্লুইড ও ব্যাগ উৎপাদন ইউনিটে ৯ প্রকারের স্যালাইন (গ্লুকোজ, গ্লুকোজ অ্যাকুয়া, নরমাল, কলেরা, পেরিটনিয়াল ডায়ালাইসিস, ৩ শতাংশ নরমাল, বেবি, হেমোডায়ালাইসিস ফ্লুইড ও হাটর্সম্যান) ও ৪ প্রকারের ব্লাড ব্যাগ সিপিডি (সাইট্রেট ফসফেট ডেক্সট্রোজ), বেবি এবং ট্রান্সফিউশন ও ইনফিউশন সেট উৎপাদন হয়।

ইউনিটটি যখন সচল ছিল তখন প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার থেকে ১১ হাজার পিস স্যালাইন ও ২ থেকে ২ হাজার ৫০০ পিস রক্তের ব্যাগ উৎপাদন হত। উৎপাদিত ওইসব স্যালাইন ও রক্তের ব্যাগ রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর ও উপজেলা হাসপাতালে সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে উৎপাদন বন্ধ থাকায় রাজধানীসহ সারাদেশে স্যালাইন ও রক্তের ব্যাগের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *