জরিমানা দিয়ে পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইলেন বরিস জনসন

জরিমানা দিয়ে পার্লামেন্টে ক্ষমা চাইলেন বরিস জনসন

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : করোনাকালে সরকারি বিধি অমান্য করে নিজের সরকারি বাসভবনে গার্ডেন পার্টি আয়োজন করার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ৫০ পাউন্ড জরিমানা দিতে হয়েছে। দেশটির পুলিশ এই জরিমানা ধার্য করার পর গতকাল মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) প্রথমবার পার্লামেন্টের মুখোমুখি হয়েছিলেন জনসন। তার চ্যান্সেলার অফ এক্সচেকারেরও জরিমানা হয়েছে। দুই জনেরই পদত্যাগের দাবি তুলেছেন বিরোধী নেতারা।

এছাড়া বরিসের নিজের দলের কিছু নেতাও তার পদত্যাগ চেয়েছেন। কিন্তু তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন বরিস। দেশটির হাউস অফ কমন্সে ১১ দিন ইস্টারের ছুটি ছিল। পার্লামেন্ট আবার শুরু হওয়ার পরই জনসন ক্ষমা চাইলেন।

তবে জনসনের বিরুদ্ধে লকডাউনের সময় পার্টি করা নিয়ে আরো অভিযোগ আছে এবং তার তদন্ত চলছে। তাছাড়া তিনি পার্লামেন্টকে বিপথচালিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ, জনসন পার্লামেন্টে দাবি করেছিলেন, তিনি কোনো আইন ভাঙেননি। এই বিষয়টি নিয়েও তদন্ত হচ্ছে। এই আচরণবিধি ভাঙার ঘটনা প্রমাণিত হলে মন্ত্রীরা সাধারণত পদত্যাগ করেন।

বিপর্যয়ের মুখে বরিসের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ! বিপর্যয়ের মুখে বরিসের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ!

জনসন বলেছেন, ‘আমি আবার ক্ষমা চেয়ে নিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মানুষ আরো বেশি প্রত্যাশা করতেই পারেন।’

জনসন আরও বলেছেন, ‘কোভিড মোকাবিলার কৌশল নিয়ে আলোচনার আগে ক্যাবিনেট রুমের জমায়েতের ফলে যে করোনাবিধি ভঙ্গ হচ্ছে, তা তিনি বুঝতে পারেননি। আমি আবার বলছি, এটা আমার ভুল। আমি তার জন্য ক্ষমা চাইছি।’ ডয়েচে ভেলে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *