পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লেবাননে পূর্ণমাত্রা যুদ্ধের বিরুদ্ধে সতর্ক করেন এবং বলেন, গাজা যুদ্ধের অবসানের সময় এসেছে। তিনি মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে কয়েক শ’ নেতার সামনে তার শেষ ভাষণ দেন।
ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের কথা উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘একটি পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধে কোনো পক্ষের স্বার্থলাভ হবে না।’ তিনি বলেন, কূটনৈতিক সমাধান করা এখনো সম্ভব।
গাজায় ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে প্রায় এক বছর ধরে চলা যুদ্ধের বিষয়ে বাইডেন দলগুলোকে একটি যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী মুক্তি নিয়ে চুক্তির ‘শর্তগুলো চূড়ান্ত করা’ আহ্বান জানান। এই চুক্তি জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ অনুমোদন করেছে।
রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনের প্রচেষ্টা সম্পর্কে বাইডেন বলেন, ‘আমরা ক্লান্ত হতে পারি না। আমরা মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারি না এবং আমরা ইউক্রেনের প্রতি আমাদের সমর্থন কমিয়ে আনবো না, যতক্ষণ না ইউক্রেন একটি ন্যায্য এবং স্থিতিশীল শান্তি নিয়ে জয়ী হয়।’
জাতিসঙ্ঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ডের মতে বাইডেনের বক্তৃতা একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এসেছে।
তিনি গত সপ্তাহে জাতিসঙ্ঘে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা প্রতি বছর এটি বলি, কিন্তু ইউএনজিএ-এর এই সম্মেলন এমন জটিল এবং আরো চ্যালেঞ্জিং মুহূর্তে আসায় ভালো হয়েছে। ‘যে সকল সঙ্কট এবং সংঘাতের দিকে মনোযোগ আনতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি এমন তালিকা কেবল বেড়েই চলেছে।’
সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে গাজা। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সাধারণ পরিষদের বাকি অংশের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। সাধারণ পরিষদ গত সপ্তাহে ইসরাইলকে আগামী ১২ মাসের মধ্যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল বন্ধ করার দাবি জানিয়ে ব্যাপক সমর্থনে একটি প্রস্তাব পাস করেছে। যে ১৪টি সদস্য দেশ না ভোট দিয়েছে তার মধ্যে একটি যুক্তরাষ্ট্র।
টমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভোট ওয়াশিংটনের ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে দুর্বল করে এমন একতরফা পদক্ষেপের’ প্রতি বিরোধিতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
বাইডেন তার প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ করার সময় এই দ্বন্দ্বগুলোকে প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসাবে চিহ্নিত করেন।
একটি বিষয় বেদনাদায়কভাবে পরিষ্কার : ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ এক বছরে গড়িয়ে আসছে। প্রায় ১০০ জন হামাসের কাছে বন্দী বলে ধারণা করা হয়। হোয়াইট হাউস বলেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা তদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
কয়েক মাস ধরে বাইডেনের দূতরা কাতার এবং কায়রোর মধ্যে যাওয়া আসা করে দুই পক্ষকে একত্রিত করার চেষ্টা করছে। আর এই কয়েক মাস ধরে তারা একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছালেও তা বারবার ব্যর্থ হয়েছে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা