পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম (অনলাইন ডেস্ক) : একটি শিশু একটি মুকুল। শিশুরাই আগামীর সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করবে। দেশ, সমাজ ও পৃথিবীর জন্য তাই তাদের গড়ে তুলতে হয় মানবীক শিক্ষা ও চারিত্রিকভাবে উন্নত ও পরিশুদ্ধ করে। একটি শিশু তার শৈশবে যা শেখে তাই তার পরবর্তী জীবনে সামগ্রীকভাবে প্রভাব ফেলে। তাই শিশুর ঘর ,বিদ্যালয় ও সমাজ এসবই তার শিক্ষার্জনের তীর্থস্থান। এখান থেকেই নানরকম উৎসাহ পেয়ে তারা ভালো ভালো কাজ করে। সমাজ, মানুষ ও ধর্মের প্রতি অনুরাগী হয়ে উঠে। তুরস্কের একটি পৌরসভার কর্তৃপক্ষ এমনই এক আন্দোলন গ্রহন করেছে যেন।
তুরস্কের একটি পৌরসভার কর্তৃপক্ষ শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি উৎসাহ দিতে ৫২০ জনকে সাইকেল পুরস্কার দিয়েছে। টানা ৪০ দিন ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করায় ওই শিশু-কিশোররা এই পুরস্কার পেয়েছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি তুরস্কের আকশাহর পৌরসভায় রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে ‘চলো মসজিদে যাই, ফজর নামাজে শরীক হই’ নামের এক বিশেষ প্রকল্প চালু করা হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় নগরীর ইফতা বোর্ডের সহায়তায় ‘বাইসাইকেল বিতরণ’ এর এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
আকশাহর পৌরসভা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আলিদী, পৌর-মেয়র সালেহ আক্কায়া ও মুফতী আহমদ কারদাশের উপস্থিতিতে শহরের সংস্কৃতি-বিষয়ক কার্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় শিশুদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এতে স্থানীয় কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এই কার্যক্রমের লক্ষ্য ছিলো- শিশুরা যাতে মসজিদে যেতে অভ্যস্ত হয়, নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারে এবং একত্ববাদ ও সমাজে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
প্রসঙ্গত, তুরস্কের রয়েছে সুদীর্ঘ গৌরবময় ইতিহাস। উসমানী খেলাফতের পতন পরবর্তী দীর্ঘ বিরতির পর সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্ক আবারো প্রভাবশালী হয়ে উঠছে। বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার তুর্কি আকাঙ্খার ইঙ্গিত এরদোয়ানের তৎপরতায় স্পষ্ট। বলাবাহুল্য, সেলজুকদের সময় থেকেই তুরস্কের সাথে ইসলামের ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। আবার সবচেয়ে কট্টর সেক্যুলার শাসনও তুরস্কের মানুষ দেখেছে। সম্প্রতি তুরস্ক ধীরে ধীরে তার অতীতে ফিরে যাচ্ছে।
আমরা জানি, ইসলামের বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন এবং অব্যবহিত পরে সূরা মু’মিন-এর ৫৫ নম্বর আয়াত স্রষ্টার পক্ষ থেকে সকাল ও সন্ধ্যায় দৈনিক দুই ওয়াক্ত নামাজ মুসলিমদের জন্য ফরজ (আবশ্যিক) হওয়ার নির্দেশনা লাভ করেন। তিনি ৬১৪ খ্রিষ্টাব্দে সকাল, সন্ধ্যা ও দুপুরে দৈনিক তিন ওয়াক্ত নামাজের আদেশ লাভ করেন। ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে রজব তারিখে মিরাজের সময় পাঁচওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। উল্লেখ্য যে, এ সময় যুহর, আসর ও ইশা ২ রাকায়াত পড়ার বিধান ছিল। ৬২৩ খ্রিষ্টাব্দে আল্লাহর তরফ থেকে ২ রাকায়াত বিশিষ্ট যুহর, আসর ও ইশাকে ৪ রাকায়াতে উন্নীত করার আদেশ দেয়া হয়