পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বলেছে, গাজায় জিম্মিদের উদ্ধারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের নিহতের ঘটনায় যুদ্ধাপরাধ হয়ে থাকতে পারে। মঙ্গলবার (১১ জুন) মানবাধিকার কার্যালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস কর্তৃক জিম্মিদের বন্দি রাখার ঘটনাতেও একই অপরাধ হয়ে থাকতে পারে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, বিমান হামলার সহযোগিতায় শনিবার গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। দুটি পৃথক অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে হামাস জিম্মিদের আটক রেখেছিল।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, ইসরায়েলের এই অভিযানে ২৭০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেছেন, যে পন্থায় জনবহুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে তা যুদ্ধের আইন বহির্ভূত। যা প্রশ্ন তুলছে ইসরায়েলি সেনারা তা মেনে চলেছে কি না।
লরেন্স আরও বলেছেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক এমন জনবহুল এলাকায় জিম্মিদের আটক রাখার কারণে ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের জীবন ও জিম্মিদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছে।
মুখপাত্র বলেছেন, উভয় পক্ষের এমন পদক্ষেপ হয়ত যুদ্ধাপরাধ হতে পারে।
মানবাধিকার কার্যালয়ের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জেনেভায় জাতিসংঘে ইসরায়েলের স্থায়ী মিশন বলেছে, এটি ইসরায়েলকে অপবাদ দেওয়া। এই যুদ্ধে বেসামরিকদের এত প্রাণহানি হামাসের পরিকল্পিত কৌশলের কারণে হয়েছে। তাদের কৌশল হলো বেসামরিকদের ক্ষতি সর্বোচ্চ করা।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় গাজায় চলমান যুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছে। হামাসের ওই হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি। বিপরীতে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হামাস প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এদের মধ্যে ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে শতাধিক জিম্মিকে ছেড়ে দিয়েছে হামাস। এখনও প্রায় ১১৬ জন জিম্মি হামাসের হাতে আটক রয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৪০ জন নিহত বলে ধারণা করছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।