জিয়া ও তার স্ত্রী প্রতি মাসেই আমাদের বাড়িতে যেত: শেখ হাসিনা

জিয়া ও তার স্ত্রী প্রতি মাসেই আমাদের বাড়িতে যেত: শেখ হাসিনা

পাথেয় ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়া প্রতি মাসেই দু’একদিন আমাদের বাড়িতে যেত। তাকে মেজর থেকে জেনারেল করেছেন আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। অথচ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আমি ও আমার বোন শেখ রেহানাকে জিয়াউর রহমান দেশে আসতে দেয়নি। কারণ আমরা দেশে আসলে তার রাজনীতি করতে অসুবিধা হবে।

বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‌জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল। শুধু জিয়া একাই নয়, তার স্ত্রীও হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তা না হলে জাতির পিতাকে হত্যার তদন্তে‌জিয়া বাধা দিয়েছিল কেন?

বঙ্গবন্ধু খুনিদের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি এবং জিয়াউর রহমান তাদের দূতাবাসে চাকরিসহ বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের পার্লামেন্টে বসিয়েছিল জিয়ার স্ত্রী (খালেদা জিয়া)। তার অর্থ কী দাঁড়াচ্ছে জিয়াউর রহমান একাই নয়, তার স্ত্রীও ১৫ আগস্টের হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে লিপ্ত ছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনিরা খুনিই হয়। এই খুনিরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। বারবার আমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। কাজেই এদের হাতে দেশের ক্ষমতা গেলে দেশের কি উন্নতি হবে, দেশের মানুষ কি ন্যায়বিচার পাবে?

জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অন্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাদের ক্ষমতা দখল তারা কখনো ন্যায়বিচার করতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে স্বাভাবিক করতে অনেক সময় লাগে। স্বাধীনতার পর দেশের যে অবস্থা ছিল সেই অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে জাতির পিতাকে কি আরেকটু সময় দেয়া যেত না? সদ্য স্বাধীন দেশ পুনর্গঠনের জন্য তাকে সময় দেয়া হয়নি। তার বিরুদ্ধে শুধু সমালোচনা ও ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু দেশের স্বার্থে কখনোই আপস করেননি।

১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য সবচেয়ে কলঙ্কজনক দিন হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে, তার হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা যদি থাকত তবে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে বাঙালি জাতি ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে উঠত। উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বে মর্যাদা পেত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *