নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্তমানে ৯০ শতাংশ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। আসছে ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ গ্রামে বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যায়।বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য সফুরা বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের পরিমাণ চার লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার, সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ১১ হাজার ৬০ কিলোমিটার, গ্রিড উপকেন্দ্রের ক্ষমতা ৩৫ হাজার ৪০ এমভিএ। প্রতিমাসে তিন লাখ গ্রাহক সংযুক্তের মাধ্যমে আগামী অর্থবছরে শতভাগ বিদ্যুতায়নের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকায় সাধারণত বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকে না। তবে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এয়ারকন্ডিশনার ও ফ্যান লোড বেড়ে যাওয়ায়, সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতা, গ্যাস সরবরাহের অপ্রতুলতা এবং রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। এ অবস্থায় বিশ্বকাপ ফুটবল চলাকালে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সামগ্রিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা মনিটারিংয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানির সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জ্বালানি বহুমুখীকরণ (দেশীয় ও আমদানিকৃত কয়লা, গ্যাস ও এলএনজি, তরল জ্বালানি) ও বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
সংসদ সদস্য সদস্য মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মসজিদসমূহে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের কোনো ব্যবস্থা আপাতত নেই। তবে নিয়মিত আয়ের উৎসবিহীন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত মসজিদসমূহে মাসিক ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল সরকার কর্তৃক পরিশোধ করা হয়।সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকার গৃহস্থলিতে এলপি গ্যাস ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে। এ জন্য গৃহস্থলিতে পাইপ লাইনে গ্যাস সংযোগ দেয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে আমদানিকৃত অপরিশোধিত ও পরিশোধিত জ্বালানি তেল খালাস কার্যক্রম আরও সহজ, দ্রুত, সুষ্ঠু ও ব্যয় সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে মহেশখালীতে ভাসমান জেটি হিসেবে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) স্থাপনে চীনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এসপিএম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।