ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিজিবি মোতায়েন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিজিবি মোতায়েন

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকাতে চট্টগ্রামে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই দুই উপজেলায় দুই প্লাটুন করে মোট চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। ইতিমধ্যে বিজিবি সদস্যরা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক ছাড়াও দুই উপজেলার বিভিন্ন সড়কে টহল শুরু করেছেন। চট্টগ্রামের বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন নামে পরিচিত ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক। এটি দিয়ে সড়ক পথে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে ঢাকাসহ উত্তরবঙ্গের বাণিজ্য হয়ে থাকে। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কে নানা নাশকতা হতো। এবারও এরকম আশঙ্কা থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলার প্রত্যেকটিতে নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে এক প্লাটুন এবং সহকারী কমিশনারের (ভুমি) সঙ্গে এক প্লাটুন বিজিবি থাকবে।

গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। একই দিন মতিঝিল শাপলা চত্ত্বর এলাকায় সমাবেশ করে জামায়াত। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া জামায়াতের কর্মসূচি শেষ হলে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হওয়া ছাড়াও ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকে বিএনপি। পরে একই কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াত। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিন দিন সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় বিএনপি। হরতালের মতো বিএনপির সঙ্গে মিল রেখে অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জামায়াত।

এদিকে অবরোধ শুরু হওয়ার আগের দিন (সোমবার) রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরের গরীবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি মিনিবাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। ধারণা করা হচ্ছে, চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার জেরে এ আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *