পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় এখনও তেমন দেখা যায়নি। নেই যানজট। মহাসড়ক মোটামুটি ফাঁকা।
এই মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে দূরপাল্লার বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী নামানোর কারণে গত এক মাসে ৭১৩টি যানবাহনের নামে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয় শতাধিক দূরপাল্লাগামী বাস রয়েছে। অটোরিকশা, ইজিবাইক, লেগুনাসহ অন্যান্য যানবাহনের নামে মামলার সংখ্যা ১১৩টি। মামলার পর রাজস্ব আদায় হয়েছে ২০ লক্ষাধিক টাকা।
মহাসড়কের দ্রুতগতির লেনে বাসের যাত্রী নামানো ও ৫ ফুট উঁচু সড়ক বিভাজক ডিঙিয়ে যাত্রীদের সড়ক পারাপার নিয়ে গত ১১ ও ২০ মার্চ সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেন হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের সদস্যরা।
ঘনিয়ে এসেছে ঈদুল ফিতর। মহাসড়কের শিমরাইল সাইনবোর্ড, সানারপাড় ও কাঁচপুর অংশে গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা। ঈদে ঘরমুখো মানুষ তেমন দেখা যায়নি, বাস কাউন্টারেও নেই অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়।
তবে ঢাকা-ফেনী সড়কে চলাচল করা স্টারলাইন পরিবহনের কাউন্টার মালিক নাসির উদ্দিন বলেন, আদমজী, ইপিজেডসহ স্থানীয় পোশাক কারখানাগুলো সোমবার বিকেলে বন্ধ হবে। তাই সোমবার রাত থেকে মূলত বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীর ভিড় শুরু হবে বলে তিনি ধারণা করছেন। তিনি আরও বলেন, তারা বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন না, নেওয়ার কোনো সুযোগও নেই। যাত্রীরা কাউন্টারে এলেই অনায়াসে টিকিট পাচ্ছেন।
শিমরাইল পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহেল বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা।শিমরাইল ও কাঁচপুর অংশে ঈদের সময়ও যানজটের আশঙ্কা নেই।