তাঁরা ক্ষমতায় এলে দেশকে ধ্বংস করে ফেলবে : প্রধানমন্ত্রী

তাঁরা ক্ষমতায় এলে দেশকে ধ্বংস করে ফেলবে : প্রধানমন্ত্রী

পাথেয় রিপোর্ট : সরকারের বিরুদ্ধে খুনী, অর্থ পাচারকারী এবং সুদখোররা একজোট হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে দেশকে ধ্বংস করে ফেলবে। তাঁরা দেশের সম্পদ লুটে খেয়েছে, তাঁরা ক্ষমতায় গেলে স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে মিলে দেশ ধ্বংস করবে। কাজেই জনগণকে তাদের সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমান দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুখালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমান দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং তারা যে অর্থ বিদেশে পাচার করেছে তা আমরা ফিরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। এখন ড. নকামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং মাহমুদুর রহমান মান্না এই দুর্নীতিবাজদেরকেই সঙ্গে নিয়েই লড়াইয়ে নেমেছেন।’

২৩ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আয়োজনে নিউইয়র্কে এক নাগরিক সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেন এবং বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ নতুন জোটকে সমর্থন দিয়েছেন কিন্তু অতীতে তারা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। এই সমস্ত দুর্নীতিবাজকে নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাঁরা কথা বলেন, তাঁরা লড়াই করবেন! কামাল হোসেন লড়াই করবেন? বি চৌধুরী লড়াই করবেন? মান্না লড়াই করবে?

শেখ হাসিনা বলেছেন, এতিমদের টাকা আত্মসাতের কারণে খালেদা জিয়া দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন। আর তাঁর বড় ছেলে তারেক জিয়াও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত। আর মইনুল হোসেন কাকরাইলের বাড়ির জমি দখল করেছিলেন, সে জায়গা নিয়ে মামলা আছে। সাজু হোসেন বনাম রাষ্ট্র। ওই মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত। আর ‘ভুয়া’ আমমোক্তারনামা তৈরি করে এক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি নিজের ভাইয়ের নামে দখল নেওয়ার ঘটনায় বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ অভিযুক্ত। কিন্তু তৎকালীন সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ তাকে ক্ষমা করে দিয়ে নিজের সরকারে অর্ন্তভূক্ত করেছিলেন।

ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পরও তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ ছাড়েন না। দরিদ্রদের উচ্চসুদে ঋণ দিয়ে তিনি এখন বড়লোক হয়েছেন। হিলারি ক্লিনটনের সহযোগিতায় ড. ইউনূস পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করেছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আমাকে গ্রেপ্তারের পর তিনি (ইউনূস) ইয়াজউদ্দীন নেতৃত্বাধীন সরকারকে ডাবল এ প্লাস মার্ক দিয়েছিলেন।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান। সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ শাখার সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *