তালেবানের জন্য সুখবর

তালেবানের জন্য সুখবর

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : গত বছরের আগস্টে পশ্চিমা সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারকে হঠিয়ে আফগানিস্তানে ক্ষমতার মসনদে বসে তালেবান। এর এক মাস পরেই তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে। কিন্তু সেই সরকারকে এখনো বিশ্বের কোনো দেশ স্বীকৃতি দেয়নি।

আফগানিস্তানের নতুন শাসকশ্রেণি আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বীকৃতি পেতে মরিয়া তারা। গত মাসে তালেবান নরওয়েতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সাতটি পশ্চিমা রাষ্ট্র ও জোটের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে। এই ঘটনাকে তালেবান নেতৃবৃন্দ বড় অর্জন হিসেবে ঘোষণা দেয়। এছাড়া তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকী সম্প্রতি বলেন, তাদের সরকার স্বীকৃতির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

এসবরে মধ্যে স্বস্তির খবর পেল তালেবান। সাবেক ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা প্রধান ডেভিড রিচার্ডস বলেছেন, যুক্তরাজ্য শিগগিরই কিংবা দেরিতে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে।

যুক্তরাজ্যের সাবেক এই প্রতিরক্ষা প্রধান বলেন, আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে যুদ্ধে পশ্চিমারা পরাজিত হয়েছে এটা মেনে নেওয়া উচিত। আফগান জনগণের স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আফগানিস্তানের নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করা। এ সময় তিনি স্বীকার করেন, যুক্তরাজ্য তালেবানের সঙ্গে কাজ করতে পারে। তালেবানের মধ্যে তেমন বৈশিষ্ট রয়েছে।

বিবিসি প্যানোরোমাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিরক্ষা প্রধান বলেন, তালেবান এখন আফগানিস্তানের নেতা এবং দেশটির চার কোটি মানুষের জন্য তারা দায়বদ্ধ। আমি মনে করি পশ্চিমারা শেষ পর্যন্ত তালেবানকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। যদি ঘটনা এটাই হয় তাহলে— দেরির পরিবর্তে দ্রুত করা ভালো হবে। বিজয়ে উদারতা দেখাতে বিশাল শব্দ সম্ভার রয়েছে। আমার মনে হয়, আমাদের জন্য পরাজয়ে উদার হওয়া একটি উপলক্ষ।

গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে জমাকৃত আফগানিস্তানের জাতীয় রিজার্ভের ৯১০ কোটি ডলারের ব্যাংক হিসাবটি স্থগিত করে। এর ফলে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটেছে। আফগান জনগণ ক্রমবর্ধমানভাবে নিত্যপণ্য কেনার সামর্থ্য হারাচ্ছে। দেশটির মুদ্রা উচ্চ অবমূল্যায়নের সম্মুখীন হচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া অর্থনীতি পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করছে। তালেবানের সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন বলেও স্বীকার করছে তারা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *