দেওবন্দ, ১২আগস্ট : ভারতে আলোচিত ‘তিন তালক’ বিলে কোনওমতেই কোনও প্রকার বিল মঞ্জুর করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ‘ল’ বোর্ডের মুখপাত্র এবং ইসলামী ফিকাহ একাডেমীর প্রধান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ রহমানি।
তিনি বলেন, সরকার এতে যে ধরনের সংশোধনী পুনরায় এনেছে তা যথেষ্ট নয়। এই বিলে বেশ ত্রুটি ও অসংগতি আছে। তাই খুব অল্প সময়েই এ বিল সরকারকে ফিরিয়ে নিতে হবে এবং এর অসংগতি দূর করতে তা সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠাতে হবে। অন্যথায় মুসলিম ‘ল’ বোর্ড কোনও অবস্থাতেই তা গ্রহণ করবে না। ১২আগস্ট রোববার দারুলউলুম দেওবন্দ ওয়াকফ আয়োজিত ‘খতিবুল ইসলাম’ সেমিনারে মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ রাহমানি স্থানীয় সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রশাসনিক ক্ষমতা বলে তিন তালাকের উপর নিয়ে যাওয়া এই বিল একতরফা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিলের সাথে সম্পৃক্ত স্বার্থের দিকেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এটিকে।
তিনি এর বিরোধিতা প্রকাশ করে বলেন, এই বিলের সঠিক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সরকার ও প্রশাসনের উচিৎ ছিলো মুসলিম পণ্ডিতদের পরামর্শ গ্রহণ করা। কখনোই এমনকিছু করা উচিৎ নয় যা সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যে, সরকার তার ইচ্ছামত হুকুমতকে শরীয়তে অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, মুসলিম ল বোর্ড শরীয়তে যাচ্ছেতাই প্রবেশ করানোকে কোনওভাবেই মেনে নেবে না। সুতরাং যতদ্রুত সম্ভব সরকারের উচিৎ এই বিলকে ফিরিয়ে নেয়া।
‘দারুল কাযা’ বিষয়ক এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দারুল কাযা বিষয়ে গণমাধ্যম একরকম অনর্থক একটি ইস্যু দাঁড় করিয়েছে। যেখান বাস্তবতা হলো,দারুল কাযার সংবিধান হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে বিবাদকামী নয় এবং এটি কোনও সমান্তরাল আদালতও নয়। বরং শরীয়তের আলোয় জাতীর সমস্যা নিরসনের পন্থা।
তিনি বলেন, দারুল কাযা গঠনে মুসলিম বোনদেরও উপকার হবে এবং বিবিধ সমস্যায় জড়িত অন্যান্য মুসলিম বোনেরাও খুব অল্প সময়েই শরীয়ত প্রদর্শিত পদ্ধতি অনুযায়ী ইনসাফ পাবে।
অনুবাদ ও গ্রন্থনা : কাউসার মাহমুদ
তথ্যসূত্র : ডেইলে হামারা সামাজ,দিল্লী
সম্পাদনা : মাসউদুল কাদির