দাম কমবে যেসব পণ্যের

দাম কমবে যেসব পণ্যের

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বেশকিছু পণ্যের শুল্ক ও কর কমানোর প্রস্তাব করেছেন। এর ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।

দাম কমতে পারে এমন পণ্যের মধ্যে রয়েছে নির্মাণসামগ্রী, ডেঙ্গুর কিট, ডায়ালাইসিস সেবা, বিদেশি পোশাক, গুঁড়া দুধ, ল্যাপটপ, পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা ইত্যাদি।

গুঁড়া দুধ : আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে আড়াই কেজি পর্যন্ত প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক তুলে নেয়া হয়েছে। ফলে গুঁড়া দুধের দাম কিছুটা কমতে পারে।

বিদেশি পোশাক : নারী, পুরুষ ও শিশুদের বিভিন্ন ধরনের পোশাকের সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে। ফলে বিদেশি পোশাকের দাম কমতে পারে।

ডায়ালাইসিস সেবা : বাজেটে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবায় ব্যবহৃত ফিল্টারের শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ডায়ালাইসিস সেবায় ব্যয় কমতে পারে।

ডেঙ্গুর কিট : ডেঙ্গু কিট আমদানি শুল্কে ছাড় দেয়া হয়েছে। ফলে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের দাম কমতে পারে।

নির্মাণসামগ্রী : আবাসনসহ বিভিন্ন নির্মাণ খাতে ব্যবহৃত রড, বার ও অ্যাঙ্গেল তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ম্যাঙ্গানিজ ব্যবহৃত হয়। বাজেটে এসব পণ্য আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে নির্মাণসামগ্রীর দাম কমতে পারে।

কার্র্পেট : কার্পেট তৈরির প্রধান কাঁচামাল পলিপ্রেপাইলিন ইয়ার্ন আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দেশে তৈরি কার্পেটের দাম কমতে পারে।

বিদেশি চকোলেট : প্রস্তাবিত বাজেটে চকোলেট আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হচ্ছে। এ কারণে সব বয়সিদের পছন্দের চকোলেটের দাম কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ল্যাপটপ : প্রস্তাবিত বাজেটে ল্যাপটপ আমদানিতে মোট কর কমানো হচ্ছে। যার প্রভাবে কমতে পারে পণ্যটির দামে। আমদানিকারকদের বর্তমানে ল্যাপটপ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্কসহ মোট ৩১ শতাংশ শুল্ক-কর দিতে হচ্ছে। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ এবং ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে শুল্ককর ৩১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০.৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সরকার আগে স্থানীয় প্রস্তুতকারকদের সুরক্ষা দিতে ল্যাপটপ আমদানিতে কর বাড়িয়েছিল। তবে এমন পদক্ষেপে শেষ পর্যন্ত গ্রাহকদের খরচ বেড়েছে। কারণ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ল্যাপটপের মান ও দাম নিয়ে ক্রেতারা সন্তুষ্ট নয়।

কম্পিউটার : কম্পিউটার ও কম্পিউটারসামগ্রী আমদানির জন্য আমদানিকারক কোনো শর্ত ছাড়াই শুধু ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রদান করে সব ধরনের কম্পিউটার ও প্রিন্টারের যন্ত্রাংশ ইত্যাদি আমদানি করতে পারবে, যা প্রকৃত কম্পিউটারসামগ্রী উৎপাদকদের জন্য অসুবিধাজনক। প্রস্তাবিত বাজেটে ওই শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।

ইলেকট্রিক মোটর : ইলেকট্রিক মোটর উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এ কারণে ইলেকট্রিক মোটরের দাম কমতে পারে।
এ ছাড়া ক্যানসারের ওষুধের কাঁচামাল, শুকনা ফল, মাশরুম, চা, গ্রিন টি, কফি ইত্যাদি ক্ষেত্রে শুল্ককর ও শুল্কায়ন মূল্যে বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফলে দাম কমার সুযোগ তৈরি হবে।

Related Articles