দাম কমলো কাঁচামরিচের!

দাম কমলো কাঁচামরিচের!

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ভারত থেকে কাঁচামরিচের আমদানি। এতে দুদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি দাম কমেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। বন্দরের পাইকারি আড়তে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। আর খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হলেই দিনের প্রথম দিকে ভারত থেকে ট্রাকে ট্রাকে কাঁচামরিচ প্রবেশ করছে বন্দরে। সেই সঙ্গে বন্দরে আসতে থাকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা। দরদামের মাধ্যমে শুরু হয় পণ্য বেচা-বিক্রি।

বগুড়া থেকে কাঁচামরিচ নিতে আশা মনসুর আলী বলেন, ‘প্রতিবছর অতিরিক্ত খরা বা বন্যার সময় কাঁচামরিচের আবাদের ক্ষতি হয়। এতে দেশে কাঁচামরিচের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এবারও দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে চাহিদা। ফলে বন্দরে কাঁচামরিচ কিনতে এসেছি।’

কাঁচামরিচ আমদানি কারকের প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে বন্যার কারণে কাঁচামরিচের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশে উৎপাদিত মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে দেশীয় বাজারে কাঁচামরিচের দামও প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের বাজারে কাঁচামরিচের চাহিদা থাকায় ভারত থেকে এই নিত্যপণ্যটি আমদানি করা হচ্ছে। এইসব কাঁচামরিচ আমদানি করা হচ্ছে ভারতের বিহার রাজ্য থেকে। সরবরাহ করা হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।’

প্রতি মেট্রিকটন কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে ৫০০ মার্কিন ডলারে। এসব কাঁচামরিচ আমদানিতে সরকারকে রাজস্ব দিতে হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫ টাকা হারে। রাজস্ব তুলে নেয়া হলে কাঁচামরিচের দাম কমে আসবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

হিলি বন্দরে কাঁচামরিচের পাইকার গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘প্রতিবছর রোজার আগে এবং বন্যার সময় দেশে কাঁচামরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে পড়ে। ফলে ভারতীয় কাঁচামরিচের ব্যাপক চাহিদা থাকে। এবারও চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন বন্দর থেকে ২-৩ ট্রাক কাঁচামরিচ কিনে রংপুর ও বগুড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছি। তবে কাঁচামরিচের দাম অনেক বেশি। এতো দামে কিনে লোকসানের আশঙ্কা বেশি কাজ করে। কারণ অতিরিক্ত গরম বা বৈরি আবহাওয়ার কারণে কাঁচামরিচ নষ্ট হয়ে গেলে পুঁজি হারাতে হবে। তাছাড়া কাঁচামরিচের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সেভাবে দাম কমেনি। দাম যদি ১০০ টাকার নিচে থাকে তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা।’

এদিকে কাঁচামরিচ পচনশীল পণ্য হওয়ায় বন্দর থেকে দ্রুত ছাড় দিতে সব ধরনের সহযোগিতা কথা বলছেন বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

বন্দরের হিসাব মতে, গত ২৩ মে থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২০৬টি ট্রাকে ১ হাজার ৯৫৮ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে ভারত থেকে। প্রতি মেট্রিকটন কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে ৫০০ মার্কিন ডলারে। এতে সরকারকে রাজস্ব দিতে হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫ টাকা হারে।

Related Articles