দিনে সেমিস্টার ফি ৬০০ টাকা, সন্ধ্যায় তিন লাখ!

দিনে সেমিস্টার ফি ৬০০ টাকা, সন্ধ্যায় তিন লাখ!

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মাস্টার্সের একজন শিক্ষার্থীর প্রতি সেমিস্টারে বেতন ৩০০ টাকা। তাকে মাস্টার্স সম্পন্ন করতে পড়তে হয় দুটি সেমিস্টার। অথচ একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকোর্সের একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি সেমিস্টারে বেতন দিতে হয় ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকা। মাস্টার্স শেষ করতে তাকে পড়তে হয় ৬টি সেমিস্টার। এ হিসেবে সান্ধ্যকোর্সের একজন শিক্ষার্থীর মাস্টার্স শেষ করতে খরচ পড়ে  তিন লাখ টাকারও বেশি। আবার, সান্ধ্যকোর্সের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি পরিমাণে টাকা দিলেও এসব শিক্ষার্থীকে পরিবহন, আবাসিক সুবিধাসহ অন্য কোনও সুবিধা দেওয়া হয় না। বছরের পর বছর ধরে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন দুই নীতি বহাল রয়েছে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় বাড়ানোর শর্তে সান্ধ্যকোর্স চালু হওয়ার পর এই খাত থেকে অর্জিত অর্থের ৬০ শতাংশই পান কোর্স সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। এই অর্থ কোর্স সংশ্লিষ্ট একজন শিক্ষকের নিয়মিত বেতনের দ্বিগুণ থেকে কোনও কোনও ক্ষেত্রে তিন গুণ বেশি হয়ে থাকে। ফলে অভিযোগ রয়েছে,সান্ধ্যকোর্সে ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে এসব শিক্ষকের থাকে ব্যাপক আগ্রহ। এমনকি যেসব বিভাগে সান্ধ্যকোর্স চালু হয়নি সেসব বিভাগের শিক্ষকদেরও এই কোর্সের অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ থাকে ব্যাপক। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষকদের এই সান্ধ্যকোর্স-প্রীতির কারণে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিয়মিত শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি শাখা থেকে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতি সেমিস্টারে বেতন বাবদ নেওয়া হয় ৩০০ থেকে ৩৬০ টাকা। মাস্টার্স সম্পন্ন করতে তাদের দুটি সেমিস্টার পড়তে হয়। এর বাইরে পরিবহন ফি, হল ভাড়া,ইউনিয়ন ফি, পরীক্ষা ফি ও অন্যান্য খরচসহ দুই সেমিস্টারে একজন শিক্ষার্থীর খরচ হয় সাড়ে আট হাজার টাকা।

এদিকে  ডিন অফিস সূত্রে সান্ধ্যকোর্সের খরচ সম্পর্কে জানা গেছে, মাস্টার্স সমমান সান্ধ্যকোর্সে ভর্তি হওয়া একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতি সেমিস্টারে ভর্তি বাবদ পাঁচ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এছাড়াও প্রতি সেমিস্টারে চারটি কোর্স পড়তে তার খরচ পড়ে ৪২ হাজার টাকা। এর বাইরেও ল্যাব ফি বাবদ দিতে হয় আরও পাঁচ হাজার টাকা। এ হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ মিলিয়ে এক বছরে তিন সেমিস্টারে সান্ধ্যকোর্সের একজন শিক্ষার্থীর মোট খরচ হয় প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী দুই বছরের সান্ধ্যকোর্স সম্পন্ন করতে একজন শিক্ষার্থীকে মোট ২২টি কোর্স ও ৬টি সেমিস্টারে গুনতে হয় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা।

হিসাব কষে দেখা গেছে,নিয়মিত শিক্ষার্থীদের চেয়ে সান্ধ্যকোর্সের শিক্ষার্থীদের বেতন কাঠামোর মধ্যে প্রায় ৪২ গুণ ফারাক। সান্ধ্যকোর্সের এই বেতন কাঠামো কীভাবে নির্ধারিত হয় জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি একটি প্রস্তাব করে,তারপর সেটা অনুষদে আসে, অনুষদ থেকে ডিনস কমিটি এটি যাচাই করে। সর্বশেষ একাডেমিক কাউন্সিল থেকে সান্ধ্যকোর্সের বেতন কাঠামো অনুমোদিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বাইরে যে কোনও পেশার বা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করা শিক্ষার্থীরা এসব কোর্সে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২৫টি বিভাগ ও ৮টি ইনস্টিটিউটেই সান্ধ্যকোর্স চালু রয়েছে। প্রতিবছর এই ৩৩টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে চূড়ান্তভাবে ভর্তি হন প্রায় আড়াই হাজার নিয়মিত শিক্ষার্থী। আবার এই ৩৩টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটেই সান্ধ্যকোর্সে প্রতি বছর ভর্তি হন প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী।এই চার হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতি বছর আদায় করা হয় অন্তত ৬৬ কোটি টাকা।

বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু আছে সান্ধ্যকোর্স। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের শর্তে সান্ধ্যকোর্স চালু হলেও অভিযোগ রয়েছে, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে তেমন কাজে আসছে না।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে সান্ধ্যকোর্সের নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ যাওয়ার কথা। কোথাও কোথাও হয়তো এর ব্যত্যয় ঘটতে পারে। তবে এটাও ঠিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নও ঘটছে এই অর্থ দিয়ে।

এদিকে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও নিয়মিত শিক্ষার্থীরা জানান, প্রথমে বাণিজ্য অনুষদের কর্তাব্যক্তিরা এই কোর্স খোলায় এগিয়ে ছিলেন। এখন তাদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কলা,সামাজিক বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান অনুষদসহ প্রায় সব অনুষদই খুলছে সান্ধ্যকোর্স। বাড়তি অর্থ আয় করতে সান্ধ্যকোর্সের প্রতি শিক্ষকদের মনোযোগ বেশি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ আইন অনুষদের আইন বিভাগে সান্ধ্যকোর্স খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই বিভাগে সান্ধ্যকোর্স খোলার পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে গত বছরের ১০ আগস্ট এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছিলেন আইন বিভাগের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন বিভাগে সান্ধ্যকোর্স খোলার অনুমতি দেয়।

এসব বিষয়ে জানতে আইন বিভাগের শিক্ষক ও আইন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একই বিভাগের এক শিক্ষক  বলেন, শিক্ষকদের আগ্রহ তো অবশ্যই থাকে। প্রথমত, সান্ধ্যকোর্স চালু করতে হলে সবার আগে বিভাগের শিক্ষকদের আগ্রহ থাকতে হবে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদন চাইতে হবে। তাছাড়া শিক্ষকদের বেতনই বা কত? অনেকেই আছেন যারা এখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাস নেন। কিন্তু বিভাগেই যদি আয়ের পথ খোলা থাকে তাহলে প্রাইভেটে গিয়ে কী হবে?

এদিকে অভিযোগ রয়েছে,সান্ধ্যকোর্স চালুর কারণে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। শিক্ষকরা সান্ধ্যকোর্সে বেশি মনোযোগী থাকায় নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় কম দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এমন মনোভাবের কথা জানা গেছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের কাছে বিভাগের জুনিয়ররা ফোন করে জানায়,শিক্ষকরা হুটহাট ক্লাস প্রোসপন্ড করে দেন। আবার ওই শিক্ষককেই দেখা যায় একই দিন সান্ধ্যকোর্সে ক্লাস নিচ্ছেন। এমন করার কারণ, যেখানে টাকা বেশি পাচ্ছেন সেদিকে শিক্ষকদের মনযোগটাও বেশি। এতে আল্টিমেটলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিয়মিত শিক্ষার্থীরা। ফলে দুই স্তরের শিক্ষার মান ঠিকঠাক রাখতে পারছেন না।

অন্যদিকে, সান্ধ্যকোর্সের বেতন অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও নানা উছিলা দেখিয়ে বিভিন্ন সেমিস্টারে মাঝে মাঝেই বাড়তি অর্থ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে কোনও কোনও বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের সান্ধ্যকোর্সের এক ছাত্রী বলেন, সান্ধ্যকোর্সে ভর্তির সময় নির্ধারিত ফি তো দিতেই হয় আবার প্রতি সেমিস্টারে কোনও না কোনও অজুহাতে বাড়তি টাকা দিতে হয় বিভাগে। যেমন, আমাদের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের অন্তর্ভুক্ত ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করতে হয়। ইভেন্ট আয়োজনের টাকাসহ ভর্তির সময়ই টাকা নেয় কর্তৃপক্ষ। তারপরও ক্লাস শুরু হলে ইভেন্ট আয়োজন বাবদ আবারও বিশাল অংকের টাকা আমাদের কাছ থেকে নেয় তারা। এর অর্থ একই ইস্যুতে অর্থ দেওয়া লাগে দু’বার। এমনিতেই সান্ধ্যকোর্সের বেতন ফিসহ অন্যান্য ফি অনেক বেশি। সেখানে এমন বাড়তি অর্থ আদায় করলে সেটা অমানবিক।

জানতে চাইলে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারের নামে একটি অ্যাকাউন্ট আছে। শিক্ষার্থীরা ভর্তির অনুমোদন পাওয়ার পর প্রথমে ভর্তিসহ সব খরচের টাকা ওই অ্যাকাউন্টে জমা দেয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে টাকার পরিমাণ উল্লেখ রেখে ডিন অফিস ও বিভাগে তা ট্রান্সফার করা হয়।  ফলে বিশ্ববিদ্যালয়কে টাকা না দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।

শিক্ষার মান নিয়ে কোনও আপস  (কম্প্রোমাইজ) করা ঠিক নয় উল্লেখ করে ইউজিসি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, শিক্ষকদের আগ্রহ তো আছেই। তাছাড়া মান নিয়ে কথা বলতে হলে আমি বলবো, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলোÑ কারা পড়ছে এই সান্ধ্যকোর্সে। যারা দিনে পড়ার যোগ্যতা রাখে না তাদের টাকার বিনিময়ে সন্ধ্যায় পড়িয়ে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, এটা ঠিক নয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো,সান্ধ্যকোর্সের মান নিয়ে কোনও কম্প্রোমাইজ করা ঠিক নয়।

নিয়ম অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকোর্স থেকে আয়ের ৬০ শতাংশ টাকা পান সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে দেওয়া হয় ৩০ শতাংশ এবং বাকি ১০ শতাংশ পায় ডিন অফিস।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক থেকে অধ্যাপক পর্যন্ত কত টাকা বেতন দেওয়া হয় জানতে চাইলে বাণিজ্য অনুষদের ডিন শিবলি রুবাইয়াতুল ইসলাম এ ব্যাপারে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক সান্ধ্যকোর্সে ক্লাস নেওয়া বাবদ মাসে সম্মানী পান এক লাখ ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। একজন সহযোগী অধ্যাপক পান এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। একজন সহকারী অধ্যাপক পান ৯০ হাজার থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা। একজন লেকচারার পান নূন্যতম ৮০ হাজার টাকা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, সান্ধ্যকোর্সের আয় থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পায় ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ, তিন শতাংশ পায় ডিন অফিস এবং ৬৪ দশমিক ৫ শতাংশ টাকা সংশ্লিষ্ট বিভাগ পায়। এই ৬৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকেই নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয়।

সান্ধ্যকোর্স খোলার প্রতি শিক্ষকদের অধিক আগ্রহের সমালোচনা করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, কয়েকমাস আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি বিভাগের শিক্ষকরা দাবি করলেন, সান্ধ্যকোর্সে শুধু মাস্টার্সই নয়, অনার্সের শিক্ষার্থীও ভর্তি করানো হবে। ক্লাস নেওয়া হবে দুই শিফটে। এটা জানার পরই আমরা প্রতিবাদ করলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলেন। তারপর সেটা বন্ধ হলো। তখন তাদের যুক্তি ছিল,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন কম।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়কে তারা খুব অল্প পরিমাণ টাকা দেয়। ৬০ শতাংশ টাকাই শিক্ষকরা নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা ব্যবহার করে মাসে মাসে লাখ লাখ টাকার বাড়তি বেতন নিয়ে তারা পকেট ভারি করছেন। এছাড়া নিয়মিত শিক্ষার্থীরা যেখানে সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস করতেন সান্ধ্যকোর্স চালুর পর এখন করে পাঁচ দিন। এর মানে তাদের শিখন কর্মঘণ্টা কমে গিয়েছে। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সময়মতো হয় না, পরীক্ষার খাতা সময়মতো দেখা হয় না। অথচ সান্ধ্যকোর্সে শিক্ষকরা ক্লাস নিয়ে বেড়াচ্ছেন। এগুলোর লাগাম টানা উচিত।

__________________

patheo24,/105

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *