পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দুই দফায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিতে ডুবে গেছে খুলনা নগরীর রাস্তা-ঘাট। হাঁটু পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় আটকা পড়ে বহু যানবাহন। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। শুধু সড়কই নয়, অলি-গলিতেও থৈ থৈ করছে পানি।
শনিবার সকাল ১০টায় একবার এবং দুপুরে আরেকবার বৃষ্টি নামে খুলনা নগরীতে। নগরীর খালিশপুর বিআইডিসি রোড, বাস্তুহারা, শান্তিধাম মোড়, রয়্যাল মোড়, টুটপাড়া, বাইতিপাড়া, স্যার ইকবাল রোড, শামসুর রহমান রোড ও পিটিআই মোড় এই অল্প বৃষ্টিতেই পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন জীবিকার তাগিদে বের হওয়া মানুষ।
দুই দফার বৃষ্টিতে নগরীর অনেক দোকানপাট ও বাড়ির নিচতলা পানিতে ডুবে যায়। বৃষ্টির পানিতে বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। অনেক জায়গায় বর্জ্যের অংশ ড্রেনে আটকে গিয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজে ধীরগতির কারণে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নগরবাসী।
নগরীর বিআইডিসি রোডের সোহেল রানা বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি পানিতে তলিয়ে গেল। নতুন রাস্তার মোড় থেকে পিপলস মোড় পর্যন্ত বেহাল দশা। আর আলমনগর ও কদমতলা মোড় পর্যন্ত বৃষ্টি হলে পানি জমে। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কে খানাখন্দ। আর এখন ড্রেনের কাজ চলছে। ফলে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে কাদামাটি জমে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, শুনেই আসছি দ্রুত কাজ শেষ হবে, দ্রুত শেষ হবে, কিন্তু সেটা কবে? ড্রেন ও রাস্তার কাজ শেষ হলে এই দুর্ভোগ আর থাকবে না।
নগরীর বাইতিপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী শাহজাহান সিরাজ বলেন, আধাঘণ্টা বৃষ্টিতেই এলাকার রাস্তা ও গলি পানিতে ডুবে গেছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুব খারাপ। ড্রেন ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি। তাই বৃষ্টি থামার পরও পানি নামতে সময় লাগে।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনায় আজ দুই দফায় ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। প্রথম দফায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ৩ মিলিমিটার। আর দ্বিতীয় দফায় দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ২১ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।