দুই দিনে টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের শতাধিক সেনা

দুই দিনে টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের শতাধিক সেনা

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘর্ষ থেকে জীবন বাঁচাতে আবারো দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর শতাধিক সদস্য টেকনাফে পালিয়ে এসে বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। গত দুই দিনে মিয়ানমারের ধাপে ধাপে তারা টেকনাফে পালিয়ে আসেন। এর মধ্যে গত বুধবার (১০ জুলাই) সকালে ২০ জন এবং বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ১১৯ জন মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন।

গত বেশ কিছুদিন ধরে মিয়ানমারের রাখাইনের সীমান্ত শহর মংডু টাউনশিপ দখলে নিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সাথে দেশটির সামরিক জান্তার মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। মংডু জেলার অধিকাংশ এলাকা ইতোমধ্যেই আরাকান আর্মির দখলে চলে এসেছে। এখন শুধু মংডু টাউনশিপ দখলের লড়াই চলছে। সীমান্তের একাধিক সূত্র মতে আরাকান আর্মি মংডু টাউনশিপ ঘিরে ফেলেছে। সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের বিকট শব্দে টেকনাফের সীমান্ত এলাকা প্রকম্পিত হচ্ছে। যুদ্ধে কুলিয়ে উঠতে না পেরে মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিন ধাপে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ ও নাজিরপাড়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি সদস্যরা নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। পরে তাদেরকে নিরস্ত্র করে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা হেফাজতে নেন। কিন্তু এ বিষয়ে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: আদনান চৌধুরী জানান নতুন করে মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা এপারে আশ্রয় নিয়েছে বলে শুনেছি। তারা বিজিবি ও কোস্টগার্ডের হেফাজতে রয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে।
বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, সীমান্তের স্থল ও জলসীমায় সার্বক্ষণিক তাদের সদস্যরা টহল দিচ্ছে। মিয়ানমারের এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সদস্যরা প্রস্তুত আছে।

Related Articles