দুর্গন্ধের রহস্য ভেদ করতে গিয়ে ‍যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

দুর্গন্ধের রহস্য ভেদ করতে গিয়ে ‍যুবকের অর্ধগলিত ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পচা দুর্গন্ধে নাক আটকে যাবার অবস্থা। বসতঘর থেকে এমন দুর্গন্ধে ভিড় বাড়তে শুরু করে। কেউ কেউ ওই বসতঘরের জানালা ফাঁক করে ভেতরে উকি দেয়ার চেষ্টা করেন। এরপর দুর্গন্ধের রহস্য ভেদ করতে সক্ষম হন উপস্থিত লোকজন। পরে চাঁদপুরের কচুয়ায় বসতঘর থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় আহসান উল্লাহ নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের চাংপুর গ্রাম থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আহসান উল্লাহ ওই গ্রামের মৃত আফসার উদ্দিনের ছেলে।

আহসান উল্লাহর স্বজনরা জানায়, গত ১২ দিন আগে বাড়ি থেকে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান আহসান উল্লাহ। তবে কবে কখন আবার বাড়ি ফেরেন তা জানেন না তারা। শুক্রবার ওই যুবকের তালাবদ্ধ বসতঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করলে জানালা দিয়ে উকি দিয়ে তারা দেখেন, বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছেন আহসান উল্লাহ। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। তবে এ বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করতে আসা থানা পুলিশের সদস্যরা কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কচুয়া থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

এদিকে, স্বজন এবং এলাকাবাসীর দাবি, অন্য কোথাও হত্যা করে আহসান উল্লাহর মরদেহ তার বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা।

আহসানের বড়ভাই শাহ জালাল বলেন, ‘আহসান উল্লাহর মুখে স্কচটেপ এবং হাত বাঁধা ছিল।’

নিহতের ভাতিজা আমান উল্লাহ বলেন, ‘গলায় রশি দিয়ে বসতঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয় আমার চাচা আহসান উল্লাহকে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।’

অন্যদিকে, ঘটনার অনেক আগে থেকেই নিহত আহসান উল্লাহর স্ত্রী তার শিশু সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।

শুক্রবার রাতে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, মরদেহটি পচে গলে গেছে। তাই মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া বলা যাচ্ছে না। তারপরও পুলিশ মৃতের স্বজন এবং আশপাশের মানুষজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তা মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উৎঘাটনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় যুবলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন আহসান উল্লাহ। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে অনেকটা আত্মগোপনে থাকার চেষ্টা করেন তিনি। তাই স্ত্রী সন্তানকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে বাড়ি ছেড়ে পাশের জেলা কুমিল্লার বিভিন্নস্থানে ঘুরে বেড়ান আহসান উল্লাহ। কিন্তু কবে কখন আবার বাড়ি ফিরেছেন তিনি তার কোনো তথ্য নেই স্বজনদের কাছে।

Related Articles