দেশে বছরে যক্ষ্মায় ৩৮ হাজার মৃত্যু

দেশে বছরে যক্ষ্মায় ৩৮ হাজার মৃত্যু

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : দেশে প্রতিবছর যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৮ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এ রোগের ঝুঁকিতে থাকা ৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল টিবি রিপোর্ট ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় গাইড লাইন অ্যান্ড অপারেশনাল ম্যানুয়ালের প্রতিবেদন অনুসারে তথ্য তুলে ধরা হয়।

শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগারের মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। সভায় টাঙ্গাইলের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে প্রতি বছর লাখে নতুন করে ২২১ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হচ্ছেন এবং মৃত্যু বরণ করছেন ২৪ জন।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা একটি জীবাণুঘটিত সংক্রামক রোগ। আগে এ রোগের চিকিৎসা ছিলো না, কিন্ত বর্তমানে যক্ষ্মার চিকিৎসা আছে। যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীর কফ, হাঁচি, কাশি ও কথা বলার মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবানু ছড়ায়। যক্ষ্মা হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। সাধারণ ফুসফুসে যক্ষ্মার প্রধান লক্ষণ হলো টানা দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে কাশি হওয়া। বিকেলের দিকে অল্প জ্বর ও শরীর ঘেমে জ্বর ছেড়ে যাওয়া। খাবারে অরুচি, ওজন কমে যাওয়া, শরীর দিনদিন দুবর্ল হয়ে পড়া। কখনো কখনো কাশির সাথে রক্ত বের হওয়া। যক্ষ্মা হলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শরিফুল ইসলাম। নাটাব টাঙ্গাইল জেলা শাখার নির্বাহী সদস্য আবু রায়হান খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক সহকারি পরিচালক ডা. শম্ভুনাথ চক্রবতী, নাটাব টাঙ্গাইল জেলা শাখার নির্বাহী সদস্য আল রুহী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *