দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সংস্থা কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী

দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সংস্থা কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রোধ করতে একটি দুষ্ট চক্র দেশে-বিদেশে সরকার এবং দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দুষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো কাজ করছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।

বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ২৫-২৬ অক্টোবর দুদিনব্যাপী ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে’ যোগ দিতে বর্তমানে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, পদ্মা রেল লিংকসহ বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পগুলোর নাম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব অবকাঠামো বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার মুকুটে নতুন নতুন স্বর্ণপালক যুক্ত করেছে। বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের মাধ্যমে দেশের জনগণ বহুমুখী অর্থনৈতিক সুফল পাচ্ছেন। বর্তমান সরকার বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিবাচক অগ্রযাত্রায় গতিরোধ করতে বহির্বিশ্বে ও বাংলাদেশে অপপ্রচারকারীদের একটি দুষ্টচক্র সরকার এবং দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসব দুষ্টচক্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থা কাজ করছে।

সরকারপ্রধান জানান, দেশের বিরুদ্ধে সব অপপ্রচার মোকাবিলাসহ বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এবং অনলাইন মিডিয়াগুলোতে নিয়মিতভাবে তথ্যবহুল ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ প্রকাশ এবং কনটেন্ট প্রচারের বিষয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহ বিভিন্ন সভা বা আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সচেতন করে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হীন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে প্রবাসে জনমত গঠন করছে।

ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যেসব অসত্য বা বিকৃত খবর ও গুজব সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হয় সেগুলো চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেমন- ফেসবুক পেজ ও টুইটারের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের অন্য দেশ থেকে আসা অতিথিদের সঙ্গে আলোচনা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে মিডিয়াসহ বিশ্ববাসীকে অবহিত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, গুজব ও অপপ্রচার রোধে ১৫টি প্রতিবেদন, ৭২টি তথ্যবিবরণী এবং একটি প্রেসনোট জারিসহ সাতটি ফিচার তথ্য অধিদপ্তর থেকে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *