দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় হচ্ছে : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় হচ্ছে : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কল্যাণে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প আয়োজিত এবং জেলা প্রশাসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করায় বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কোনো অশুভ শক্তি যেন ধর্মের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে- সে বিষয়ে ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃবৃন্দকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়ন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।

ফরিদুল হক খান বলেন, এই প্রথম সমগ্র দেশে মন্দির ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২৬২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সারা দেশে ২ হাজার ৩শ ৫১টি মঠ, মন্দির ও শ্মশান সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি কর্মসূচির অধীনে শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির ও শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় মোট ১৯৯টি মঠ, মন্দির, শ্মশান সংস্কারের জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ঈদগাহ/কবরস্থান/শ্মশান সংস্কার/মেরামত বাবদ বিগত ১৪ বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃধর্মীয় সংলাপে বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *