পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম: লাখো মুসল্লির ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে শেষ হলো কুড়িগ্রামের তিন দিনব্যাপী মিনি ইজতেমা। সদরের ধরলা ব্রিজের পূর্ব পাড়ে সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা মাঠে রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে ইজতেমা শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এ ইজতেমায় দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে সকাল ৯টায় মোনাজাত করা হয়। এ সময় আগত মুসল্লিদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে যায়।
মোনাজাতের আগে বয়ানে চরমোনাই পীর বলেন, ‘নামাজ, রোজা যেমন ইবাদাত তেমনি আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করাও ইবাদাত। ভোট মানে সাক্ষী দেওয়া, সমর্থন করা। তাই বুঝে শুনে সেই সমর্থন দেওয়া উচিত। দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াব হতে হলে আল্লাহর কাছে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করতে হবে।’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সকালে লাখো মুসল্লিদের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া তিন দিনের এ ইজতেমায় উদ্বোধনী বয়ান করেন চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
তিনি ইজতেমা ব্যবস্থাপনা কমিটি, আগত মুসল্লি, সাংবাদিকবৃন্দ, ইজতেমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের সকল সদস্য, এলাকাবাসীসহ নিপীড়িত বিশ্বের সকল মুসলমানদের জন্য মাগফিরাত কামনা করেন। ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।
রাজারহাট উপজেলা থেকে আসা মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক মুসল্লি বলেন, ‘আমি গত বৃহস্পতিবার ইজতেমা ময়দানে আসি। এখানে তিন দিন ধরেছিলাম। হাজার হাজার মানুষ এসেছে এখানে। আজ সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে ইজতেমা শেষ হলো। আমি প্রতিবছর ইজতেমায় আসি এবারেও আসছি।’
ইজতেমার সদস্যসচিব মাওলানা আব্দুল মোমিন জানান, তিন দিনব্যাপী বয়ানে আরও অংশ নেন, মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই, মাওলানা ইউনুছ আহমাদ পীর সাহেব খুলনা, নওমুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মাওলানা রেজাউল করীম, মোসলেহ উদ্দীন আজাদী, রংপুর বিভাগীয় মুজাহিদ কমিটির সদস্য জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।