পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, আমরা যেন আমাদের সন্তানকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে পারি। আমরা অনেক অপসংস্কৃতি লালন করেছি। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেক সাংস্কৃতিক রীতি পরিত্যাগও করেছি। ধর্মের সঙ্গে জেন্ডার বিষয়ক শিক্ষা, প্রজনন শিক্ষা, সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের শিক্ষার কোনও বিরোধ নেই। আমাদের অনুশাসন মেনে চলতে হবে শালীনতার ক্ষেত্রে, অনুশাসন মেনে চলতে হবে ধর্মীয় বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে। জানার ক্ষেত্রে ধর্মীয়ভাবে বিধিনিষেধ কোথাও দেওয়া হয়নি।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জেনারেশন ব্রেক থ্রু প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) নিয়ে জাতীয় কর্মশালায় শিক্ষা উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমার সন্তানকে যদি জানতে দেই—তখন সে সতর্কতা অবলম্বন করবে। প্রজনন সম্পর্কে শিক্ষার একটি সুযোগ দরকার কেননা পরিণত বয়সে পারিবারিক জীবন সুষ্ঠু ও সুস্থভাবে পরিচালনায় এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেটা শিখলে সব ধ্বংস হয়ে যাবে—বিষয়টি এমন না। বরং অজানা থেকেই আরও বেশি বিপদের শঙ্কা থাকে। এমন আচরণ করা হয় যেন প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে, ঋতুচক্র নিয়ে কথাই বলা যাবে না। কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে তো এটা শরীরে ঘটছে।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ ছেলে সন্তানের বাবা মায়ের সঙ্গে দূরত্ব থাকে। ফলে বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ দক্ষতা তৈরি হয় না।
বিস্ময় প্রকাশ করে উপমন্ত্রী বলেন, আমাকে চিকিৎসকরা বলছেন রাজধানী ঢাকার মায়েরা-মেয়েরা ব্যবহারযোগ্য টয়লেটের অভাবে পানি খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। যাতে তাদের বাথরুমে না যেতে হয়। পানি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে তাদের বিভিন্ন অসুখে পড়তে হচ্ছে। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছে, আমরা একটা হেলথ প্যানডেমিক নিজেরাই সৃষ্টি করছি।