নিখিলের ধ্যানের ছবি।। পর্ব–৯

নিখিলের ধ্যানের ছবি।। পর্ব–৯

গত পর্বের পর

উচ্চাকাঙ্ক্ষী মুহাম্মাদ সা.

উচ্চাশার সেদিনই জন্ম হয় যেদিন এই ধরাধামে তিনি আগমন করেন। আশৈশব তাঁর অন্তরাত্মা উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর উত্তম আচারের অভিযাত্রী। মন্দত্বকে আর অহেতুকতাকে ঝেড়ে ফেলা তিনি এক সৌভাগ্যবান ঊর্ধ্বচারী, ঋদ্ধিকামী, দূরাকাঙ্ক্ষী মহাপুরুষ।

তাঁর উচ্চাশার জ্বলজ্বলন্ত নিদর্শন এই যে, তিনি দুনিয়াকে পদদলিত করেছেন, চূড়ান্ত অবহেলায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন পার্থিব সব অর্থ, পদ আর বিলাশিতার হাতছানি থেকে।

সিরাত বিশারদগণ বলেন, তিনি তখন ছোট, কাবার ছায়ায় দাদা আবু তালিবের বসার জন্য একটি মাদুর পাতা থাকতো। একদা পৌত্র তিনি সেথায় গেলে পরিচারকগণ মাদুরে বসতে তাঁকে পীড়াপীড়ি করেন; সেখানে বসতে অসম্মতি জানান তিনি।

নবুয়তের আগ থেকেই তাঁর মাঝে নেতৃত্ব স্বামিত্ব, মুখ্যত্য ও অধিনায়কত্বের চিহ্ন দেদীপ্যমান ছিলো। তাই কুরেশ তাঁকে ‘বিশ্বাসী’ নাম দিয়েছিলো। তাঁর বিচারে তারা খুশি হতো। নানা সমস্যায় তারা তাঁর কাছেই ফিরে যেতো।

খোদার দয়ায় যখন তিনি নবীরূপে আত্মপ্রকাশ করলেন, তাঁর হৃদয় “ওয়াসিলাহ” তথা স্বর্গের সুউচ্চ মার্গে অধিষ্ঠান লাভে উতলা হয়ে ওঠে। সে সে স্বর্গ যা তিনি প্রভুর কাছে চেয়েছেন, আমাদেরকেও শিখিয়েছেন চেয়ে নেওয়ার পদ্ধতি।

তিনি সিদরাতুল মুনতাহার দোরগোড়ায় পদচিহ্ন এঁকেছেন। মানবত্বের অসীমতট মাড়িয়ে, মনুষ্যত্বের শ্রেষ্ঠতা লাভে তিনি ধন্য হয়েছেন। তাঁর উচ্চাশার জ্বলজ্বলন্ত নিদর্শন এই যে, তিনি দুনিয়াকে পদদলিত করেছেন, চূড়ান্ত অবহেলায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন পার্থিব সব অর্থ, পদ আর বিলাশিতার হাতছানি থেকে।

( ক্রমশ…)

মূল: ড. আঈদ আল ক্বারনী

ভাবানুবাদ: আব্দুস সালাম ইবনু হাশিম
পরিচালক আত তুরাস একাডেমী ও ইমাম শাইবানী ফিকহ একাডেমী। সাবেক মুহাদ্দিস, জামিআ ইকরা বাংলাদেশ

সম্পাদনা: যারওয়াত উদ্দীন সামনূন
সহকারী সম্পাদক, পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম

Related Articles