পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মার্কিন কয়েকজন কংগ্রেসম্যানের লেখা চিঠিতে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হয়েছে– সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন এটার প্রতিবাদ করেছে। তারা বলেছে যে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য। সেভাবে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। নির্বাচন যত কাছে আসবে আরও বেশি করে এ ধরনের প্রচারণা চালাবে তারা। আমি জানি এটা চালাবে।
বুধবার (২১ জুন) বেলা সোয়া ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতেই সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী চলমান বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেই চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা নিয়ে এক ধরনের অপপ্রচার শুরু হয়েছে। শুধু এটা নয়, ডিজিচাল মাধ্যম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে দেশের মানুষকে সচেতন হতে হবে। তাদের অপপ্রচারে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ স্থিতিশীল থাক, উন্নতি করুক, দেশের মানুষ বিশ্বে যে সম্মান পাচ্ছে সেটা পাক বা বাংলাদেশের মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা আসুক– এটা তো চায় না। তারা ক্ষমতায় থাকতে লুটেপুটে খেতো। সেই খাওয়াটা বন্ধ হয়ে গেছে। যার জন্য তাদের মনোকষ্ট। কিছু তো আছে দেশের মাটি ব্যবহার করে অন্য দেশে আক্রমণ করবে। আমার দেশকে নিয়ে খেলবে। এটা তো অন্তত আমি হতে দিতে পারি না, এটা তো আমি হতে দেবো না।
দেশে কোনও না কোনও অপরাধ করে বিদেশে গিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা তো চিহ্নিত লোক। হ্যাঁ, মানুষকে তারা বিভ্রান্ত করছে, এটা ঠিক। আমি দেশবাসীকে বলবো, এই সমস্ত অপপ্রচারে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না। নিজেদের মনে প্রশ্ন করতে হবে, ভালো আছেন কিনা, দেশটা ভালো চলছে কিনা, দেশটা এগোচ্ছে কিনা, দেশের আরও উন্নতি হবে কিনা।
দেশ আবার সন্ত্রাস যুগে প্রবেশ করবে, ভোট চুরি, ভোট ডাকাতির যুগে প্রবেশ করবে কিনা এটা জনগণের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি, বলেন তিনি।