ন্যাটো ইস্যুতে ফিনলান্ড ও সুইডেনকে হুমকি দিল তুরস্ক

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটো সামরিক জোটে যোগদানের বিরোধিতা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। দেশ দুটি ন্যাটোর সদস্যপদ চাওয়ার কথা বলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এর বিরোধিতা করলেন।

রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, দুই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশের পক্ষ থেকে তুরস্ককে বোঝানোর জন্য প্রতিনিধিদল পাঠানোর দরকার নেই।

এরদোয়ান গত শুক্রবার ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের বলেছেন, তুরস্ক চায় না যে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটো জোটে ঢুকুক।

তিনি বলেন, সুইডেন বা ফিনল্যান্ডকে নিয়ে যা হচ্ছে তা আমরা দেখছি। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের মনোভাব ইতিবাচক নয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এই দুটো দেশের ব্যাপারে তুরস্কের বহুদিনের অভিযোগ যে তারা তুরস্কের কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পিকেকেকে সমর্থন যোগায়, গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়। সেই দুই দেশ ন্যাটো যোগ দিতে চাওয়ায় চটেছেন এরদোয়ান।

এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করে সুইডেন বলেছে, ইউরোপ একটি বিপজ্জনক নতুন বাস্তবতায় বাস করছে।

এদিকে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটো জোটে যোগ দেওয়ার উদ্যোগ গতি পাওয়ায় আবারও সতর্কবাণী উচ্চারণ করলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, দেশদুটির সঙ্গে রাশিয়ার কোনো বিরোধ নেই। তবে তাদের ভূখণ্ডে সামরিক অবকাঠামোর সম্প্রসারণ করা হলে মস্কোর তরফ থেকে ‘প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে’।

ন্যাটোর নীতি অনুসারে, ন্যাটো জোটে নতুন কোনো দেশকে সদস্য হিসেবে নিতে হলে জোটের ৩০টি সদস্য দেশকে একমত হতে হবে। প্রতিটি সদস্য দেশের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

কিন্তু যে দেশটির সেনাবাহিনী জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম – সেই তুরস্ক স্পষ্টভাবে বলে চলেছে ন্যাটোতে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডকে নেয়ার প্রশ্নে তাদের চরম অস্বস্তি রয়েছে। এক্ষেত্রে তুরস্কের ভেটো দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

সুইডেনের সরকার কয়েক দশকের জোটনিরপেক্ষতার পরে ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। ন্যাটোর সচিবালয় থেকেও পরিষ্কার বলা হয়েছে, উত্তর ইউরোপের এই দুই দেশ- যাদের একটির (ফিনল্যান্ড) সাথে রাশিয়ার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে – সদস্যপদের জন্য আবেদন করলে যত দ্রুত সম্ভব তা অনুমোদনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: বিবিসি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *