পরিবহন সঙ্কটে সবজির দামে আগুন

পরিবহন সঙ্কটে সবজির দামে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলছে না পরিবহন। আসছে না সবজি। বাজার ছুঁতে পারছে না আলু, পেঁয়াজ আর অন্যান্য সবজি। তাই বেড়ে চলেছে সবজি। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সবজির বাজারে। নতুন করে দাম না বাড়লেও পরিবহন সংকটের কারণে সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে উচ্চ মূল্যে।

আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে ইলিশের ভরা মৌসুম হলেও বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশ নেই। শুক্রবার ইলিশ বিক্রিও হয়েছে আগের চেয়ে দ্বিগুণ দামে। এ ছাড়া কোরবানির ঈদ ঘিরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মসলা।

নতুন করে পেঁয়াজের দাম না বাড়লেও এদিন প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ১০৮ টাকায়। আদার দামও বাড়তি। গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয় ১২০ টাকা। ৮০-৯০ টাকা কেজি রসুন বিক্রি হয় ৯০-১১০ টাকা।

তবে ডাল, ভোজ্যতেল, মাছ-মাংসসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর ও মালিবাগ বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

বাজারগুলোতে শুক্রবার প্রতি কেজি গাজর ৬০ টাকায় বিক্রি হয়, যা গত সপ্তাহে একই দাম ছিল। বরবটি প্রতি কেজি ৫০-৫৫ টাকা। প্রতি কেজি শসা ৬০-৬৫ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা মানভেদে ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৯০-১০০ টাকা বিক্রি হয়।

তবে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪৫ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মাঝারি আকারের লাউ প্রতিটি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি রাজধানীর বাজারে আসছে না। তাই চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বাড়তি। তবে গত সপ্তাহের মতো একই দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি।

এদিকে ভরা মৌসুমে রাজধানীর বাজারগুলোতে নেই পর্যাপ্ত ইলিশ। শুক্রবার এক থেকে দেড় কেজি ওজনের প্রতি পিস ইলিশ বিক্রি হয়েছে দুই হাজার টাকা। ৭০০-৯০০ গ্রাম প্রতি জোড়া ইলিশের দাম পড়েছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। কিছুটা আকারে ছোট ইলিশ প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা।

পুরান ঢাকার নয়াবাজারের মাছ বিক্রেতা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘এখন বাজারে যে ইলিশের দাম হওয়ার কথা ছিল ২০০ টাকা সেটা এখন ৬০০-৭০০ টাকা। ক্রেতারা দাম জিজ্ঞেস করেই চলে যাচ্ছে। দাম বেশির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত ইলিশ নেই। ভরা মৌসুম হওয়া সত্ত্বেও নদী ও সমুদ্রে সে হারে ইলিশ ধরা পড়ছে না। তাই মোকাম থেকে বেশি দাম দিয়ে এনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

এ ছাড়া কেজি প্রতি তেলাপিয়া ১৩০-১৪০ টাকা, কই ১৪৫-১৫৫ টাকা, সিলভার কার্প ১০০-১৩০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১১০-১৩০ টাকা, নলা ১২৫-১৩৫ টাকা ও সরপুঁটি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংসের বাজারও স্থিতিশীল। শুক্রবার ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়। পাকিস্তানি মুরগি আকারভেদে ১৫০-৩০০ টাকা, লেয়ার ২০০ টাকা ও গরুর মাংস ৪৭০-৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *