পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পাকিস্তানের মুখ বন্ধ করিয়ে চীন জিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সাউথ এশিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোরাম (এসএডিএফ) আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে আলোচকরা এমন অভিযোগ করেন। ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন এসএডিএফ’র নির্বাহী পরিচালক পলা ক্যাসাচা।
ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে ক্যাম্পেইন ফর উইঘুরের নির্বাহী পরিচালক রুশান আব্বাস বলেন, পূর্ব তুর্কিস্তান বা জিনজিয়াংয়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা ব্যহত হচ্ছে। সেখানকার মুসলিমদের ওপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। চীন ঐ অঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ মসজিদ ধ্বংস করে দিয়েছে। পাকিস্তানের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো আর কতদিন ধরে চীনের এই রক্তাক্ত অর্থের বিনিয়োগ গ্রহণ করবে? এ সময় তিনি সকল দেশকে চীনের এই গণহত্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
ইন্সটিটিউট ফর গিলগিট বালতিস্তানের প্রেসিডেন্ট সেনেং সেরিং বলেন, চীন এবং পাকিস্তান উভয় দেশ গিলগিট বালতিস্তানের পরিবারগুলো বিশেষ করে নারী এবং শিশুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তিব্বত এবং জিনজিয়াংয়ে চীনের অর্থনৈতিক শোষণ এবং সাংস্কৃতিক গণহত্যা পাকিস্তানের পশতুন, গিলগিট, বেলুচিস্তানে করোনা করোনা ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে।
পশতুন তাহফুজ মুভমেন্টের ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধি ফজলুর রহমান আফ্রিদি বলেন, পশতুন অঞ্চলের নিয়ে সরকারে বিরুদ্ধে কথা বলায় তার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান নিজেদের ইসলামের চ্যাম্পিয়ন বলে দাবি করে। কিন্তু পূর্ব তুর্কিস্তানের প্রশ্নে দেশটি অন্যায়ভাবে নীরব থাকে। সংকীর্ণ কৌশলগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই শুধুমাত্র ইসলামের দিকে আহ্বান জানায় পাকিস্তান। চীন-পাকিস্তান ইকোনমি করিডোরের (সিপিইসি) নামে চীন এবং পাকিস্তান উভয়ই দেশই পশতুনদের সম্পদ লুট করছে বলেও অভিযোগ করেন ফজলুর রহমান।
দক্ষিণ এশিয়া ডেমোক্র্যাটিক ফোরামের গবেষণা বিভাগের পরিচালক সেগফ্রিড ও ওল্ফ বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ইসলাম বিদ্বেষ নিয়ে কথা বলাটা কপটতা। কারণ তারা উইঘুর মুসলিমদের ওপর অত্যাচারের বিষয়ে নীরব থাকে।