পাকিস্তানে জ্বালানির দামে রেকর্ড, প্রতি লিটার ডিজেল ২৮০ রুপি

পাকিস্তানে জ্বালানির দামে রেকর্ড, প্রতি লিটার ডিজেল ২৮০ রুপি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : পাকিস্তানে প্রতি লিটার হাইস্পিড ডিজেলের দাম ২৮০ রুপি এবং পেট্রলের দাম ২৭২ রুপিতে নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি ‘মিনিবাজেটের’ মাধ্যমে কর বাড়ানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বুধবার রাতে বিভিন্ন জ্বালানি পণ্যের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।

জিও নিউজকে উদ্ধৃত করে ইকোনমিক টাইমস বলছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) সন্তুষ্ট করে আটকে থাকা ঋণের একটি কিস্তি ছাড় করাতেই এই মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে ২০১৯ সালে পাকিস্তান আইএমএফের কাছ থেকে ৬৫০ কোটি ডলার ঋণ নেওয়ার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। কিন্তু ওই অর্থের ১১০ কোটি ডলার স্থগিত হয়ে রয়েছে।

মিনিবাজেট দেওয়ার পর পাকিস্তানে ডিজেল এবং পেট্রলের যে দাম দাঁড়িয়েছে, তা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। অর্থ বিভাগ এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য ডলারের বিপরীতে রুপির অবমূল্যায়নকে দায়ী করেছে।

নতুন করে মূল্য নির্ধারণের কারণে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম হয়েছে ২৭২ টাকা, যা আগের চেয়ে ২২ দশমিক ২০ রুপি বেশি। হাইস্পিড ডিজেলের দাম ১৭ দশমিক ২০ রুপি বাড়িয়ে ২৮০ রুপিতে নির্ধারণ করা হয়েছে। কেরোসিনের দাম ১২ দশমিক ৯০ রুপি বেড়ে হয়েছে ২০২ দশমিক ৭৩ রুপি। অন্যদিকে হালকা ডিজেলের দাম হয়েছে ১৯৬ দশমিক ৬৮ রুপি, যা আগের তুলনায় ৯ দশমিক ৬৮ রুপি বেশি।

নতুন দাম বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে কার্যকর হয়েছে বলে জিও নিউজ জানিয়েছে।

আইএমএফের ঋণচুক্তির অন্যতম এক শর্ত ছিল পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম বাড়ানো। এই মূল্য বৃদ্ধি এবং এর সঙ্গে মিনিবাজেটে রাজস্ব খাতে নেওয়া আরও কিছু পদক্ষেপের কারণে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি আরও এক দফা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটিতে এখনই ইতিহাসের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে।

মুডিস অ্যানালাইটিকসের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ক্যাটরিনা এল এর আগে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে ২০২৩ সালের প্রথমার্ধে পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি গড়ে ৩৩ শতাংশ হতে পারে। এরপর হয়তো তা কমতে পারে। তাঁর মতে, শুধু আইএমএফের ঋণ দেশটির অর্থনীতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনবে, এমন সম্ভাবনা কম।

মিনিবাজেটের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট নেতৃত্বাধীন সরকার বাজেট ঘাটতি কমাতে এবং করজাল আরও বাড়াতে চায়।

জিও নিউজ জানিয়েছে, ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউ একটি আদেশ জারি করে জেনারেল সেলস ট্যাক্স (জিএসটি) ১৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করেছে। এর মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য ১১ হাজার ৫০০ কোটি রুপি অতিরিক্ত কর আদায় করা।

মিনিবাজেট বা অর্থ (অতিরিক্ত) বিলের মাধ্যমে সরকার আরও ৫ হাজার ৫০০ কোটি রুপি সংগ্রহ করবে, যা আসবে অন্যান্য রাজস্ব পদক্ষেপ থেকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *