পাবনা প্রতিনিধি : দীর্ঘদিন ধরে অগ্রগতি নেই, নেই কোন শিক্ষার্থী, পাবলিক পরীক্ষায় পাস করাতে পারে না সারাদেশে এমন ২০২টি মাদরাসা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্ন্তগত বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড। এর মধ্যে পাবনার ১১টি মাদরাসা রয়েছে। এ বছর থেকে এসব মাদরাসায় আর শিক্ষা কার্যক্রম না চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব মাদরাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষাথীদের আশপাশের স্বীকৃত মাদরাসাগুলোতে রেজিষ্ট্রেশন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ দেয়া হয়েছে। এর আগে গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এই ২০২টি মাদরাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। পরে মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের ওয়েব সাইটেও নোটিশটি প্রকাশ করা হয়েছে।
পাবনার ১১টি মাদরাসা হলো, চাটমোহর উপজেলার সোনাহার পাড়া দাখিল মাদরাসা,কতেঙ্গা গোরস্থান দাখিল মাদরাসা,দোলং মহিলা দাখিল মাদরাসা ও নারিকেল পাড়া মডেল এতিম খানা দাখিল মাদরাসা। পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি দাখিল মাদরাসা,আলোকচর সিদ্দিকী আহমেদিয়া দাখিল মাদরাসা ও আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান দাখিল মাদরাসা। সাঁথিয়া উপজেলার রতনপুর মহিলা দাখিল মাদরাসা ও বৃহস্পতিপুর দাখিল মাদরাসা এবং ভাঙ্গুড়া উপজেলার কালকাটি দাখিল মাদরাসা।
মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর একেএম সাইফুল্লাহ জানান, এসব মাদরাসা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ ছিল। তাদের কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়। সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েও ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে। পরে কারণ দর্শানো নোটিশ দিলে তাতেও সন্তোষজনক তথ্য পাওয়া যায়নি। এসব কারণে মাদরাসাগুলি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
মাদরাসা বন্ধের নোটিশে বলা হয়েছে ২০১৭-২০১৮ সালের দাখিল পরীক্ষায় কোন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেনি। এর কারণ জানতে চেয়ে মাদরাসা প্রধানকে কারণ দর্শানোর নোটিশদেওয়া হয়। অনেকেই এর জবাব দেননি। আর যারা জবাব দিয়েছেন তাতে বোর্ড সন্তুষ্টি হতে পারেনি। এ কারণে এসব মাদরাসার অনুমিত ও একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিলসহ অনলাইনে পাসওয়ার্ড,মাদরাসা কোড ও ইআইএন নম্বর বন্ধ করে দেয়া হলো।