পি কে হালদার সহযোগী অনিন্দিতাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী অনিন্দিতা মৃধাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে অনিন্দিতা মৃধাকে। সংস্থাটির উপপরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিনে নেতৃত্বে একটি টিম তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
গত ২১ জানুয়ারি সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সুকুমার ও তাঁর মেয়ে অনিন্দিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার করা হয়।
রিলায়েন্স ফিন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) বিরুদ্ধে ঋণের নামে জালিয়াতি করে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর দুপুর সোয়া ২টার দিকে আদালতে নেওয়ার পথে সুকুমার মৃধা সাংবাদিকদের বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় যা লেখালেখি হচ্ছে, সেই বিষয়ে পি কে হালদারের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। তিনি কেবল আমার ক্লায়েন্ট ছিলেন।’
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি পি কে হালদারের আরেক সহযোগী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
এদিকে দুদকের সচিব মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, পি কে হালদার বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পর তাঁর অবৈধ সম্পদ দেখাশোনা করতেন সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা। পি কে হালদারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠান সুকুমার মৃধা তত্ত্বাবধান করেন। তিনি আরো বলেন, পি কে হালদার ভুয়া ঋণ দেখিয়ে অবৈধভাবে অর্জিত প্রায় ১০০ কোটি টাকা তাঁর মা লীলাবতী হালদারের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে রাখেন। পরে লীলাবতী হালদারের ব্যাংক হিসাব থেকে সুকুমার মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও অনিন্দিতা মৃধা পি কে হালদারের কাছে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করে মানি লন্ডারিং করেছেন মর্মে তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য পেয়েছেন।
এছাড়া সুকুমার মৃধার দখলে প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পদ এবং তাঁর মেয়ে অনিন্দিতার দখলে প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে জানিয়ে এসব সম্পদ পি কে হালদারের অবৈধ উপায়ে অর্জিত বলে জানান দুদকের সচিব।