পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মিশরের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে এখন ফ্রান্সে রামি শাথ। ২০১১ সালে বিদ্রোহের সময় তিনি বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। কারাগারে কাটিয়েছেন আড়াই বছর। কারাগারের সঙ্কুচিত নোংরা, জনাকীর্ণ সেলেই হতো নাওয়া-খাওয়া, সবকিছু। ৩২ জন লোক ২৫০ বর্গফুটের সেলটিতে কাটিয়েছেন মানবেতর জীবন।
মাটিতে একটি গর্ত, আর মাথার উপরে পানির সরু ফোয়ারা। সেখানেই হতো গোসল আর প্রাকৃতিক কাজ। এই দম বন্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়ে প্যারিসে এসেই রামি শাথ বললেন, আমরা তো ছিলাম ছোট একটি সেলে। পুরো মিশরই একটি বড় কারাগার। খবর এএফপি, আলজাজিরা।
মিশরীয়-ফিলিস্তিনি ৫০ বছর বয়সী রামি মিশরে ২০১১ সালে বিদ্রোহের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বয়কট ও নিষেধাজ্ঞা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী। একটি সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা করার অভিযোগে রামি শাথকে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মুখ বন্ধ রাখার শর্তে মিশরীয় কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেওয়ার পর ফ্রান্সে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।
মুখ খুললে সপরিবারে ‘নিশ্চিহ্ন’ হওয়ার হুমকি সত্ত্বেও চুপ থাকতে পারেননি তিনি। বলেছেন, যতই প্রাণনাশের হুমকি আসুক, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তিনি। এএফপির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সবিস্তারে শাথ বলেছেন তার জেল-অভিজ্ঞতার গল্প।
শাথ জানান, আক্ষরিক অর্থেই একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে মিশর। কারাগারে ঢোকানোর জন্য কোনো কারণের দরকার হবে না। তারা যদি চায় আপনাকে আটকে রাখবে, তাহলেও কারাগারে ঢোকাতে তাদের ইচ্ছাই যথেষ্ট। আর এ কারণেই হাজার হাজার নিরীহ মিশরীয় ওই নরকে পচে মরছে।
তিনি বিশ্বাস করেন, ওয়াশিংটনে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল এবং আরব দেশগুলোর মধ্যে একটি সমঝোতার বিরুদ্ধে তার বিরোধিতাই ছিল তাকে গ্রেপ্তারের চূড়ান্ত ট্রিগার। মিশরের দমনমূলক ও রক্তাক্ত শাসনকে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন শাথ। এখনো উন্নত, আরও মানবিক মিশরের প্রত্যাশা করেন তিনি।