পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইরাক সফরে গেলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ক্ষমতাগ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরে ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশে গেলেন তিনি। তিনদিনের রাষ্ট্রীয় এ সফরে দুদেশের সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাগদাদের মাটিতে পা রাখেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ক্ষমতাগ্রহণের পর এ প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন তিনি।
সফরের প্রথম দিন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি সাক্ষাৎ করেন মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানির স্মৃতিস্তম্ভও পরিদর্শন করেন তিনি।
বাগদাদের পাশাপাশি ইরাকের কুর্দিস্তানেও সফরের পরিকল্পনা রয়েছে পেজেশকিয়ানের। অতীতে ঐ অঞ্চলে হামলা চালিয়েছিল তেহরান। পেজেশকিয়ানের এ সফরে গাজা যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে দুদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এছাড়া, বাণিজ্য, কৃষি ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে দুদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সালে ইরাকের শাসক সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাতের পর ইরান ধীরে ধীরে তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোতে নিজের প্রভাব বাড়িয়েছে। ইরাকও কিছু ইরানপন্থি সশস্ত্র দলকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান উভয় দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে ইরাকের। বর্তমানে দেশটিতে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারাও ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গত অক্টোবরে গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইরাকে শিয়া মিলিশিয়া ও মার্কিন বাহিনীর পাল্টাপাল্টি হামলা বেড়ে যায়।
ইসরাইলের সঙ্গে ইরানের তীব্র উত্তেজনার মধ্যে পেজেশকিয়ানের এ সফরকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের ভঙুর অর্থনীতি চাঙ্গা করার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোকে পাশে টানতেই পেজেশকিয়ানের এ বাগদাদ সফর।
সূত্র: রয়টার্স
