ফারেগীন ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীই এটুআই প্রোগ্রামের মুল টার্গেট

ফারেগীন ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীই এটুআই প্রোগ্রামের মুল টার্গেট

নিজস্ব প্রতিবেদক  ● ৬ বোর্ডের মাধ্যমে কওমি ছাত্রসমাজের জন্য সনদের যে স্বকিৃতি অর্জিত হয়েছে সে ঐক্যের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি কওমি ছাত্রসমাজ কোনোভাবেই মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার মহাসচিব মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমী। তিনি বলেন, আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ কওমি উলামা ও ছাত্রদের পক্ষেই নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এ২আই প্রোগ্রাম চালু করে ছাত্রসমাজকে এগিয়ে নেয়ার ভূমিকায় কারও বিভ্রান্ত হওয়ার  কোনো সুযোগ নেই।

বুধবার সকালে জমিয়তের সদরদফতর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার মহাসচিব মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমী এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, কওমি ছাত্রদের বিরাট একটা অংশ ছাত্রাবস্থায় কিছু কিছু কারিগরি প্রশিক্ষণ নিজ উদ্যোগে নেয় জানিয়ে তিনি বলেন, এটুআই যেখানে বিনা খরচে কওমি শিক্ষার্থীদের ইলমের সঙ্গে সংঘাতহীন কোনো কারিগরি প্রশিক্ষণ নিতে পারে তাহলে সমস্যা কোথায়? তা ছাড়া এটা কারও উপর চাপিয়ে দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে যে আগ্রহী সে-ই কেবল অংশগ্রহণ করতে পারে।

মাওলানা আবদুর রহীম কাসেমী বিবৃতিতে বলেন, যখন কওমি শিক্ষার্থী লেভার ভিসায় বিদেশ যায় তখন তাদের নিয়ে কেউ চিন্তা করে না দাবি করে বলেন, এটুআই-এর প্রোগ্রামের মাধ্যমে সে প্রশিক্ষণ নিয়ে কেউ যদি সম্মানজনক উপার্জন ব্যবস্থা অবলম্বন করতে পারে তাতে কারও গাত্রদাহ হওয়ার তো কথা নয়। দারুল উলূম দেওবন্দ, বাংলাদেশে জামিআ ইদমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ, জামিআ ইসলামিয়া পটিয়াতে এসব কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিল এবং এখনো আছে। তা ছাড়া পেশা অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তির স্বপেশার জ্ঞান অর্জন করাতো অবশ্য কর্তব্য।

ফারেগীন ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীই এটুআই প্রোগ্রামের মুল টার্গেট বলেও জানান তিনি।

বিবৃতিতে মাওলানা কাসেমী বলেন, যারা এটুআই প্রোগ্রামের মাধ্যমে কওমি শিক্ষার্থীরা কিছু সেটা চায় না তারা কওমির শত্রু। তারা সনদের স্বীকৃতিও চায়নি, তারা মূলত কওমির কোনো উন্নতিই চায় না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *