পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : ফিলিস্তিনের পক্ষে যুদ্ধ করতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন ২০ হাজার ইয়েমেনি নাগরিক। এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় সামরিক প্রশিক্ষণও নিয়েছেন তারা। সম্প্রতি একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে ফিলিস্তিনের জন্য তারা নিজেদের সার্বিক প্রস্তুতির কথা জানান। ইয়েমেনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সানার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রিয়া নভোস্তি।
খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনের পক্ষ হয়ে লড়াই করতে এরই মধ্যে ২০ হাজার ইয়েমেনি নাগরিক ‘আল আকসা তুফান’ নামের সামরিক প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেছেন। সম্প্রতি তারা ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় হাজ্জাহ প্রদেশের আব্বাস জেলায় অনুষ্ঠিত একটি সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেন। এ সময় তাদের অনেকে অস্ত্র বহন করছিলেন। কেউ কেউ আবার ফিলিস্তিন ও ইয়েমেনের পতাকা বহন করছিলেন।
আমেরিকা নিপাত যাক, ইসরায়েল ধ্বংস হোক স্লোগান দিয়ে তারা জানান, ইসরায়েলের হামলা থেকে নিরীহ নিষ্পাপ শিশু ও নারীদের রক্ষা করতে হবে। ফিলিস্তিনকে দখলদারদের কবল থেকে রক্ষা করতে তারা যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইয়েমেনের সর্বোচ্চ জাতীয় রাজনৈতিক পরিষদের প্রভাবশালী সদস্য মোহাম্মাদ আলী। তিনি বলেছেন, হাজ্জাহ প্রদেশের মানুষ আজ কোনো সাধারণ জনসমাবেশে যোগ দিতে আসেননি, বরং তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে এসেছেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে পুরোপুরি প্রস্তুত।
খবরে বলা হয়, প্রশিক্ষণ নেওয়া ইয়েমেনিরা আবদেল মালিক আল-হুথির নেতৃত্বে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ও ইসরায়েলি জাহাজ রক্ষায় গঠিত আমেরিকান জোটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, আনসার আল্লাহর পলিটব্যুরোর সদস্য খুজাম আল-আসাদ বলেছিলেন, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়ার জন্য এই লোকজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যদি কখনো সুযোগ আসে, তাহলে তারা ফিলিস্তিনের পক্ষ হয়ে অস্ত্র ধরবেন।
খবরে আরও বলা হয়, গাজা সংঘাতের শুরুর দিকেই হুথিরা সৌদি আরবের নেতৃত্বে গাজায় গিয়ে লড়াই করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু তাদের সে আহ্বান কোনো কাজে আসেনি।