গাজীপুর প্রতিনিধি : আগে থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল-ঈদের আগে বেতন-ভাতা নিয়ে গার্মেন্ট সেক্টরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির। অবশেষে তাই হলো। প্রতিটি ঈদ পার্বনে এমনি বিশৃঙ্খলা নতুন গার্মেন্ট শিল্পে। কিন্তু কেন? এ প্রশ্নে কোন উত্তর পায় না শ্রমিকরা। এদিকে রোববার বকেয়া বেতনের দাবিতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গির মিল গেইট এলাকার টপস এন্ড বটমস লিমিটেড নামের কারখানার শতাধিক শ্রমিক রোববার সকালে জেলা প্রশাসন চত্বরে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে। কারখানার সুইং অপারেটর সাথী আক্তার বলেন, গত জুনে ঈদের ছুটির পর ৬ জুন কারখানা খোলার কথা ছিল। ৬ জুন সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানা বন্ধ দেখতে পাই। কিন্তু ওই বন্ধের জন্য কোনো নোটিশ ছিল না। কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো বেতন দিচ্ছে না। একাধিকবার বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধের আশ্বাস দেয়া হয়। সর্বশেষ বেতন দেয়ার কথা ১৮ আগস্ট। কিন্তু ওই দিনও বেতন দেয়নি কর্তৃপক্ষ। পাওনাদির জন্য কারখানার এমডি ও ডাইরেক্টরদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও তারা রিসিভ করেন না। এমতাবস্থায় আমরা সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, দোকান বাকি ও বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে পারছি না। সামনে ঈদ-উল-আযহা। তাই আমরা শ্রম আইন অনুয়াযী সকল পাওনাদি পরিশোধের জন্য সকালে জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি দিয়েছি। জাতীয় শ্রমিক লীগের গাজীপুর মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম খলিল, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. কফিল উদ্দিন তাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং স্মারকলিপি দেয়ার সময় তারা উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, শ্রমিকরা তাদের পাওনার জন্য স্মারকলিপি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারখানার এমডি মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, সকল পাওনাদি পরিশোধ করে গত ২৬ মে কারখানাটিতে ঈদের ছুটি দেয়া হয়। শ্রমিকদের কোনো বকেয়া ছিল না। আর্থিক সমস্যার কারণে ৬ জুন কারখানাটি আর চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে বিজিএমইএ’র মধ্যস্থতায় শ্রমআইন অনুযায়ী আগামি ২৫ আগস্ট শ্রমিকদের এক মাসের বেসিক প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওইদিন ঢাকায় বিজিএমইএ’র কার্যালয়ে তাদের ওই টাকা দেয়া হবে।