‘বড় প্রতিশোধ’ নেওয়া শুরু করেছে রাশিয়া : জেলেনস্কি

‘বড় প্রতিশোধ’ নেওয়া শুরু করেছে রাশিয়া : জেলেনস্কি

পাথেয় টোয়েন্টিফোর ডটকম : রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরোধের জন্য রাশিয়া ‘বড় প্রতিশোধ’ নেওয়া শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সম্প্রতি রুশ বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং এর মধ্যেই এই মন্তব্য করলেন তিনি।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত ফ্রন্ট লাইন বরাবর প্রায় দুই মাসের অচলাবস্থার পর ইউক্রেনের ওপর মস্কো তার আক্রমণ বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে বলে কয়েক সপ্তাহ ধরে সতর্ক করে আসছেন জেলেনস্কি।

আল জাজিরা বলছে, সোমবার বৃহত্তর নতুন কোনও আক্রমণের চিহ্ন না থাকলেও ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দোনেতস্ক প্রদেশের রুশ নিয়ন্ত্রিত অংশগুলোর প্রশাসক ডেনিস পুশিলিন বলেছেন, রাশিয়ান সৈন্যরা ভুহলেদার শহরে তাদের দখল আরও জোরদার করেছে। যুদ্ধের শুরু থেকেই কয়লা খনি অধ্যুষিত এই শহরটি ইউক্রেনের ঘাঁটি হিসেবে কাজ করছিল।

পুশিলিনের উপদেষ্টা ইয়ান গ্যাগিন বলেছেন, রাশিয়ান ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের যোদ্ধারা বাখমুতের দিকে যাওয়ার একটি সড়কের আংশিক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এই শহরটি গত কয়েক মাস ধরে রাশিয়ান আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

একদিন আগে, ওয়াগনারের প্রধান বলেন, তার যোদ্ধারা বাখমুতের উত্তরে ব্লাহোদাত্ন নামক গ্রামে দখল সুরক্ষিত করেছে। তবে ইউক্রেন বলছে, তারা ব্লাহোদাত্নে এবং ভুহলেদারের ওপর রুশ আক্রমণ প্রতিহত করেছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স স্বাধীনভাবে সেখানকার পরিস্থিতি যাচাই করতে পারেনি। তবে লড়াইয়ের যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে পরিষ্কার ভাবেই ওই অঞ্চলে রুশ সেনাদের অগ্রগতির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

জেলেনস্কি বলছেন, যুদ্ধে রাশিয়া প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়া সত্ত্বেও পূর্বাঞ্চলে রুশ আক্রমণ নিরলস ভাবেই চলছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি রাশিয়া সত্যিই বড় প্রতিশোধ নিতে চায়। আমি মনে করি তারা (ইতোমধ্যেই) এটি শুরু করেছে।’

তিনি ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর ওডেসায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিদিন তারা হয় তাদের নিয়মিত সৈন্য নিয়ে আসে, অথবা আমরা ওয়াগনেরাইটের সংখ্যায় বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *